General Election 2019: 'এ দানা কেমন দানা, 'নকুল-মিহি' মূর্তি ধরো/ এ কেমন মিষ্টি তুমি, ভোটের বাজার গরম করো...'
ভোটের বাজারে নকুলদানাকে চ্যালেঞ্জ করতে হাজির মিহিদানা। ভোটার হোন কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী, সকলকেই 'জল-নকুলদানা' দিয়ে আতিথেয়তার নিদান দিয়েছেন বীরভূমে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। 'কেষ্টদা'-র পরামর্শ মেনে ভোটের মরশুমে বীরভূমে নকুলদানার চাহিদাও বেড়েছে নিঃসন্দেহে। অনুব্রতর ‘নকুলদানা’ মন্তব্য ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে ভোট বাংলায়। তবে সেই নকুলদানার থেকেও "বেশি সুস্বাদু" মিহিদানা। তাই 'কেষ্টকাকু'-র একদা স্নেহের ভাইপো এবার বিকল্প হিসেবে মিহিদানা খাওয়াবেন বলে জানালেন।
২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে অনুব্রতর খাস তালুক বোলপুরে জয়ী অনুপম হাজরা এবার যাদবুরের কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। সেই অনুপমের মুখেই শোনা গেল 'মিহিদানা তত্ত্ব'। সোমবার যাদবপুরে প্রচার শুরু করতে নেমে অনুব্রতর নকুলদানা মন্তব্য প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, "উনি নকুলদানা খাওয়াচ্ছেন। আমি না হয় মিহিদানা খাওয়াব। মিহিদানা বেশি সুস্বাদু। দানার পরিবর্তে না হয় দানাই হোক।"
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
প্রসঙ্গত, নকুলদানা খাওয়ানোর কথা বলে লোকসভা ভোটের আগে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূলের ‘কেষ্ট’। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন তাঁকে শোকজ নোটিস দিয়েছে বলে খবর। বিরোধী শিবির তৃণমূলের এই নেতার এমন মন্তব্য নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে।
— Anupam Hazra (Dr. Anupam Hazra) (@tweetanupam) March 24, 2019
আরও পড়ুন: ‘আগে কমিশনের নকুলদানা খান অনুব্রত’
যাদবপুরে প্রচারের শুরুতে নয়া চমক দিয়েছেন অনুপম। প্রচারের আগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী, অর্থাৎ তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী ও বামফ্রন্টের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানালেন অধ্যাপক অনুপম হাজরা। তবে অনুপমের প্রস্তাবে এদিন মিমি বা বিকাশরঞ্জন, কেউই সাড়া দেননি। এ প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, "ওঁরা এলে ভালই হত। ৮বি বাসস্ট্যান্ডে চা খেতাম। সৌজন্যবোধের রাজনীতি বরাবরই খুব ভাল লাগে আমার। ওঁরা কেউ আসেন নি। হয়তো নিজেদের কাজে ব্যস্ত। যজ্ঞতেও যোগ দিতে বলেছিলাম ওঁদের।" উল্লেখ্য, এদিন প্রচারের আগে যজ্ঞানুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অনুপম হাজরা।
বোলপুর ছেড়ে এবার যাদবপুরে অনুপমকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো পদ্ম শিবিরের রীতিমতো কৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বোলপুরে লড়াই কঠিন হত কি না সে ব্যাপারে সরাসরি মন্তব্য না করে অনুপম বলেছেন, যাদবপুরের মতো হেভিওয়েট কেন্দ্রে মিমির মতো প্রার্থী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় লড়াইটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী আরও বলেছেন, "সব মানুষ যদি বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, তবে বিজেপিই তাঁদের কাছে একমাত্র বিকল্প হবে। কারণ, সিপিএম ডায়নোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর তৃণমূলের রাজত্বে মানুষের ওষ্ঠাগত প্রাণ।"