General Election 2019: ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই প্রার্থী বাছাইয়ে জোর তৎপরতা দেখা দিল রাজ্য বিজেপিতে। বাংলায় বিজেপির প্রার্থী কারা? তা সম্ভবত আজই চূড়ান্ত হবে। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে আজ অর্থাৎ সোমবারই তলব করেছেন অমিত শাহরা। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছে রাজ্য বিজেপি। ওই বৈঠকেই বাংলায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে থাকবেন খোদ অমিত শাহ ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মতো নেতারা। থাকছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রাও।
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপবাবু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা কে বলেন, "কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আজ ডেকে পাঠিয়েছেন। আমি থাকছি বৈঠকে। এছাড়াও থাকছেন মুকুল রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কিশোর বর্মণরা।" আজই কি চূড়ান্ত হচ্ছে প্রার্থী তালিকা? এ প্রসঙ্গে অবশ্য সরাসরি কোনও জবাব দেননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, "এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না। ওঁদের সিদ্ধান্ত।"
আরও পড়ুন, West Bengal Lok Sabha Elections 2019 LIVE Updates: ভোটের আগে ফের দলবদল, বিজেপিতে কংগ্রেসের রাকেশ সিং
প্রসঙ্গত, বাংলায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পরই নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। একথা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপির এক শীর্ষ নেতা। ওই নেতা জানিয়েছিলেন, "এ রাজ্যে তৃণমূলের লোকসভা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগে বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে না। কারণ, আগে বিজেপি দেখে নেবে তৃণমূল কাদের প্রার্থী করে, এরপরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বঙ্গ বিজেপি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলায় পূর্বপ্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, লোকসভার সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা অতি শীঘ্রই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকরা এই প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা পাঠাবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মাধ্যমে, এমনটাই শোনা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের ভেতরেও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা নিয়ে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকের আগে শেষবেলায় প্রার্থী বাছাইয়ের কৌশল ঠিক করতেই যে এদিন দিল্লিতে অমিত শাহ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন, সে কথা জোর দিয়েই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।