General Election 2019: প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে একাধিক সভায় মোদীকে টার্গেট করেছেন মমতা। কখনও প্রধানমন্ত্রীকে ‘হিটলারের জ্যাঠামশাই’ বলে তোপ দেগেছেন তো কখনও ‘মহম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা’ বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা। একইসঙ্গে ‘চৌকিদার ঝুটা হ্যায়’ স্লোগান তো রয়েইছে মমতার জবানিতে। মোদীকে বিঁধতে গিয়ে কখনও ‘দুর্যোধনের দুঃশাসন’ বলে আক্রমণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আবার কখনও স্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মঙ্গলবার রায়গঞ্জের সভাতে এবার মোদীকে নিশানা করে মমতা বললেন, ‘‘হিটলার বেঁচে থাকলে, লজ্জায় আত্মহত্যা করতেন।’’
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
এদিন রায়গঞ্জের সভায় মোদীকে চড়া সুরে মমতা বলেন, ‘‘আম্বেদকরজির সংবিধান বদলে দেবে। কারণ নিজের প্রচার ছাড়া আর কিছু করেন না। নেতাদের থেকেও উনি বড় নেতা। এত বড় নেতা উনি, গান্ধীজির থেকেও বড় নেতা, নেতাজির থেকেও বড় নেতা! আম্বেদকরের থেকেও বড় নেতা। নিজের নামে সিনেমা বানিয়েছেন। নিজের নামে কোট বানিয়েছেন। সব নিজের নামে। এরকম দুর্যোধন-দুঃশাসনের মন্ত্রিসভা আগে কখনও হয়নি। ফ্যাসিবাদী সম্রাট একটা।’’ এরপরই মমতা বলেন, ‘‘হিটলার বেঁচে থাকলে লজ্জায় দড়ি-কলসি নিয়ে আত্মহত্যা করতেন।’’
আরও পড়ুন: ‘‘হামাগুড়ি দিয়ে ক্ষমা চাইব’’, কেন একথা বললেন মমতা?
সোমবার রায়গঞ্জের সভায় বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারকেও নিশানা করেন মমতা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘কাল একটা ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। বলছে, ২০৪৭ সালে ওদের স্বপ্নপূরণ হবে। ৫ বছর পর পর সরকার বদলায়। ওরা ২০৪৭ সালের স্বপ্ন দেখছে। ওদের বলুন, যাও আরেক বার জন্ম নিয়ে আসো, মোদীবাবু তখন তোমার ১০০ বছর হয়ে যাবে, তখন তুমি কী করে স্বপ্ন দেখবে বাবা! নতুন প্রজন্মকে ছেড়ে দাও। তারা দেশ সামলাক। তারাই ভবিষ্যত।’’