General Election 2019: ফণীর তাণ্ডবের পর রাজ্যের পরিস্থিতি এবং ক্ষয়ক্ষতির খবর নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে কথা বলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে কিন্তু সেখানে ব্রাত্য থেকেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন না করে প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে। এমন খবরই প্রকাশ পেয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের মাধ্যমে মোদী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগে মুখর হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের আগে সোমবার রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে 'অন্য কথা' শোনালেন নমো। মোদী এদিন বলেন, ফণীর ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দু'বার ফোন করেও কথা বলতে পারেননি। এরপরই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে কথা সারেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার তমলুকের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের মানুষের জন্য কোনও মাথাব্যথা নেই দিদির। ফণী দুর্যোগ নিয়ে বাংলার জন্য চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু দু-দু’বার ফোন করলেও মমতাদি ফোন ধরেননি’’। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেও দাবি করা হয়, ফণী সংক্রান্ত সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতির খবর নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বার দুয়েক ফোন করা হলেও কোনও উত্তর আসেনি। এমনকি ফণী দুর্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে যোগ দেয়নি রাজ্য।
PM Modi in Tamluk,West Bengal: Speedbreaker didi has tried to play politics even on #cycloneFani. I tried to get in touch with Mamata didi but her arrogance is such that she refused to talk to me, I tried again but she did not get in touch pic.twitter.com/g0FudSKqIo
— ANI (@ANI) May 6, 2019
আরও পড়ুন ভোট প্রচারে আক্রমণাত্মক মমতা, বিঁধলেন মোদী-মুকুলকে
মোদীর এমন অভিযোগের পরই এদিন গোপীবল্লভপুরের সভায় ফণী দুর্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘‘যা হয়েছে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আমার রয়েছে। আপনার কাছে ভিক্ষা চাওয়ার কোনও দরকার নেই। আপনি তো মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রধানমন্ত্রী। আপনি দেবেন কোথা থেকে? আপনার সঙ্গে কেন আমি বৈঠক করব? আপনি কি মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে মুখ্যসচিব ও সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করতে পারেন? মুখ্যসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নয়। কেন মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে মিটিং করবেন"? উল্লেখ্য, ফণী পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে ফোন করে খোঁজ নিলেও মমতার সঙ্গে কথা হয়নি মোদীর।
PMO Sources: However the state government has replied that the govt officials are busy with election duty and hence the review meeting should not be held. 2/2 https://t.co/i1p0GpB24y
— ANI (@ANI) May 6, 2019
তবে "মমতার ফোন না ধরা" নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের এখনও কোনরকম প্রতিক্রিয়া দেননি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বরং বাংলায় মোদীর ভোট প্রচার নিয়ে কটাক্ষ করে মমতা বলেন , "ভালই তো আছেন, সবাই গরমে কষ্ট পাচ্ছেন, আর আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দিদি আপনার মতো কপ্টারে করে ঘুরে বেড়ায় না’’। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন দাবি করলেও প্রতি নির্বাচনে তাঁকেও হেলিকপ্টার সফর করে সভা করেন।