General Election 2019: নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করা নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার রাজ্য বিজেপি দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেরাই চমকে গিয়েছেন। কোথায় সুগত বসু, আর কোথায় মিমি! কোথায় ইদ্রিস আলি, আর কোথায় নুসরত জাহান! খুবই চিন্তার বিষয়। ভগবান না করুক, ওঁরা যদি জিতে যান, ওঁরা বাংলার হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন! কী অভিজ্ঞতা রয়েছেন ওঁদের? কী দিয়েছেন ওঁরা?’’ এরপরই মমতাকে বিঁধে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘মমতার আত্মবিশ্বাস এতটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, দলের পুরনো সাথী, সৈনিকদের বিশ্বাস করতে পারছেন না? এটাই তৃণমূলের বর্তমান অবস্থা।’’
লোকসভার আরও খবর পড়ুন, এখানে
অন্যদিকে, চিত্রতারকাদের প্রার্থী করা প্রসঙ্গে দিলীপ আরও বলেন, ‘‘আমাদের দলেও অভিনেত্রী রয়েছেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় রয়েছেন। উনি যদিও এখন ছবি করেন না। কিন্তু ওঁর সঙ্গে এঁদের তুলনা টানা যায়! ওঁর বয়স, অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করা যায় এঁদের?’
আরও পড়ুন- মিমি-নুসরতকে নিয়ে সোশ্যালে ‘মিম বিলাস’, ঝুলছে কমিশনের খাঁড়া!
দলবদল প্রসঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করে দিলীপ শুক্রবার বলেন, ‘‘যেখানে ওরা পঞ্চায়েত ভাঙার চেষ্টা করছে, আমরা সংসদের সদস্য ভাঙিয়ে নিয়ে আসছি। ওরা জেলা পরিষদ ভাঙার চেষ্টা করছে, আমরা বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে আসছি।’
এবারের লোকসভা নির্বাচনে টলিউডের দুই তরুণ মুখ নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষত, যাদবপুরের মতো রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মিমির মতো রাজনীতিতে একেবারে নতুন ও অনভিজ্ঞ মুখকে প্রার্থী করা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। মিমি-নুসরতকে প্রার্থী করা নিয়ে নেট দুনিয়াও সরগরম। ইতিমধ্যে টলিউডের দুই নায়িকাকে নিয়ে মিম ছড়িয়েছে সোশ্যাল দুনিয়ায়।
আরও পড়ুন- মুকুলের মাস্টারস্ট্রোক, বিজেপির রথে অর্জুন
ট্রোল করা নিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে নুসরত জাহান বলেন, ‘‘যাঁরা এ ধরনের ট্রোল করছেন, তাঁদের আসলে রুচির অভাব রয়েছে। মহিলাদের নত করার জন্য এটা একটা পদ্ধতি। আমরা যাঁরা শিল্পী, তাঁদের আগেও ট্রোল করা হয়েছে। এখন আমরা রাজনীতিতে এসেছি, এখনও ট্রোল করা হচ্ছে।’’