General Election 2019: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রর্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু গতবারের জয়ী ৩৪ জনকেই এবার প্রর্থী করা হয়নি।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
দেখে নিন, কে কে বাদ পড়লেন ঘাসফুলের প্রার্থীতালিকা থেকে-
১)সুব্রত বক্সী (কলকাতা দক্ষিণ)।
২)অধ্যাপক সুগত বসু (যাদবপুর)।
৩)অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় (মেদিনীপুর)।
৪)উমা সোরেন (ঝাড়গ্রাম)।
৫)ইদ্রিস আলি (বসিরহাট)।
৬) পার্থ প্রতিম রায় (কোচবিহার)।
৭) সৌমিত্র খান (বিষ্ণুপুর)।
৮) অনুপম হাজরা (বোলপুর)।
৯) তাপস পাল (কৃষ্ণনগর)।
১০) তাপস মণ্ডল (রানাঘাট)।
আরও পড়ুন, West Bengal Lok Sabha Elections 2019 LIVE Updates: প্রার্থী ঘোষণা হতেই পুরোদমে প্রচারে তৃণমূল
কেন প্রার্থী তালিকায় নেই গতবারের জয়ী সাংসদরা? এদিন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই প্রশ্নের জবাব দেন। জেনে নিন, কী সেই কারণ-
সুব্রত বক্সী- দলের কাজ করতে চান বলে নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে লড়াই করতে চাননি। মমতা বলেন, "তৃণমূলেই এমনটা হয়"।
সুগত বসু- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপককে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ছাড়পত্র দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সন্ধ্যা রায়- প্রবীণ এই অভিনেত্রী 'অন্য কাজ' করতে চাইছেন। দল তাঁকে ভিন্নভাবে ব্যবহার করতে চায়।
উমা সোরেন- সংগঠনের কাজে যুক্ত থাকবেন।
ইদ্রিস আলি- এই সংখ্যালঘু নেতাকে বিধায়ক করা হবে বলে জানিয়েছেন দলনেত্রী।
পার্থ প্রতিম রায়- দলে থাকলে কাজ করবে সম্মান পাবে, তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য মমতার। এই নেতার উপর দল বিশেষ নজর রাখবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সৌমিত্র খান ও অনুপম হাজরা ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, কুমন্তব্য করে সংবাদ শিরনামে আসা তাপস পালের নাম জড়িয়েছে রোজভ্যালিকাণ্ডে। গ্রেফতারও হয়েছেন এই অভিনেতা। এরপর থেকেই দলের সঙ্গে তাপস পালের সম্পর্ক ক্রমশ আলগা হয়ে গিয়েছে।