General Election 2019: সংবাদ শিরোনামে ফের উঠে এল নানুর। চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের সকালে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হল বীরভূমের নানুরে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাজল শেখের গড়। বাঁশ-লাঠি নিয়ে তাণ্ডব করতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের একাংশকে। এ ঘটনায় এক বিজেপি সমর্থকের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত এক মহিলার বাড়ির সামনে এদিন লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হন গ্রামবাসীদের একাংশ। ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নিজেরা বিজেপি কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করেন।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
জানা যাচ্ছে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে গোলমালের সূত্রপাত। ক্ষুব্ধ বিজেপিকর্মীরা দাবি করেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতার পরিবার তাঁদের উপর চড়াও হয় আগে। এরপরই পাল্টা আক্রমণ হানার চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে, যে মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়েছিল উত্তেজিত বিজেপিকর্মীরা, তিনি আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। মহিলার দাবি, তৃণমূলকর্মী এক মুসলিম যুবককে তাঁর বাড়িতে আসেন বলেই বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ। উত্তেজিত গেরুয়াকর্মীদের সামনে এদিন কার্যত প্রাণভিক্ষা করতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলাকে। এদিন তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে রান্না হচ্ছিল, সেখানকার খাদ্য সামগ্রী এবং রান্নার সরঞ্জাম পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার কথা কানে আসার পরই এলাকায় ছুটে যায় পুলিশ-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক গোলমাল ঘিরে অতীতে একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বীরভূমের নানুর। গোটা বীরভূমে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দাপট কায়েম থাকলেও, একমাত্র নানুরই চলতে ভিন্ন পথে। এই জনপদে শেষ কথা বলেন অনুব্রতর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তবে এই তল্লাটের বেতাজ বাদশা কাজল শেখ বহুদিন ধরেই আড়ালে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঝুলছে বেশ কিছু মামলাও। এমনকি, তৃণমূল সংশ্রব থেকেও তিনি এখন অনেকটা দূরে রয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে লোকসভা নির্বাচনে নানুরে এদিন যেভাবে গেরুয়া বাহিনীর দাপট দেখা গেল, তা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: West Bengal Lok Sabha 2019 Polling Live: অধীরকে ঘিরে বিক্ষোভ, ‘গালিগালাজ’
অন্যদিকে, আজ নানুরের পাশাপাশি বীরভূমের আরেক প্রান্ত নলহাটিতেও অশান্তি ছড়িয়েছে। নলহাটির হাবিসপুরে বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারধরে মাথা ফেটেছে বিজেপি এক সমর্থকের। ওই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তবে বীরভূমের ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলেই মন্তব্য করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, একটা-দুটো ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে।