General Election 2019: ভোট মেটার পরও বীরভূমে অশান্তি অব্যাহত। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বীরভূমের মল্লারপুর। বিজেপির পোলিং এজেন্টের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আরও এক বিজেপি সমর্থককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাল্টা হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পতাকা-ফেস্টুন পোড়ানোরও অভিযোগ উঠেছে পদ্মবাহিনীর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে বাদানুবাদ চলে কয়েকজনের মধ্যে। পরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আটক করে পুলিশ।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
মল্লারপুরের পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে সিউড়িতে। তৃণূলের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, দুবরাজপুরের কুখুটিয়া গ্রামে এদিন সকালে প্রচুর পরিমাণে বোমা মিলেছে খবর। প্রসঙ্গত, গতকাল দুবরাজপুরের একটি বুথে মোবাইল ফোন জমা রাখা ঘিরে ভোটারদের একাংশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বচসা বাধে। পরে পরিস্থিতি সামলাতে শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বুথের মধ্যে কীভাবে গুলি চালালো বাহিনী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2019: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ নানুর
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের দিন তেতে ছিল অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূম। নানুরে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় নানুরের বন্দর গ্রামে। বিজেপি সমর্থকদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক বিজেপি সমর্থকের হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, বীরভূমের নলহাটিতে মাথা ফাটল এক বিজেপি সমর্থকের। মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক জানান, ‘‘বাংলার ভোট ঠিকঠাক হচ্ছে।’’ এদিকে, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।’’