General Election 2019: লোকসভা নির্বাচনে এবার বাংলা কার্যত নির্বাচন কমিশনের আতসকাচের নীচে। এবারের নির্বাচনে বাংলাকে যে বিশেষ নজর রেখেছে কমিশন, তা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। সেইমতো ‘নজিরবিহীন’ ভাবে ৭ দফায় ভোট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রথম দফার ভোটে ‘বিক্ষিপ্ত অশান্তি’র পর বাংলায় দ্বিতীয় দফার ভোট সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করাই এখন চ্যালেঞ্জ কমিশনের। এদিকে, সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, অভিযোগের বহরের নিরিখে সবাইকে পিছনে ফেলে একনম্বরে রয়েছে বাংলা। সেকারণেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বাংলায় ভোট প্রক্রিয়ায় আরও সতর্ক হল কমিশন। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের পর এবার বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে অজয় নায়েককে নিয়োগ করল কমিশন। ১৯৮৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার অজয় নায়েক। দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনের মুখে বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দ্বিতীয় দফায় বাংলার তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং কেন্দ্রে আগামিকাল ভোটগ্রহণ। তিন কেন্দ্রে ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে মরিয়া কমিশন। এর আগে গত সোমবার বাংলার ভোট পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার ভোটে বাংলায় নজর কমিশনের
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আগেই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে বিবেক দুবেকে নিয়োগ করেছে কমিশন। প্রথম দফার ভোটের আগে সটান কোচবিহারে চলে গিয়েছিলেন বিবেক দুবে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের ভোট পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন দুবে। বাংলায় প্রথম দফার ভোট ‘মোটের উপর শান্তিপূর্ণ’ বলেই জানিয়েছিলেন বিবেক দুবে। প্রথম দফার ভোটের পর দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেও পুরোদমে ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমে পড়েছেন দুবে। মঙ্গলবার রায়গঞ্জে ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। আজও বাকি দুই কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে খবর।