General Election 2019: তৃণমূলের বিধায়ক ভাঙানো নিয়ে মোদীর হুঁশিয়ারির জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি জেলার মাটিতে দাঁড়িয়েই এদিন মমতা চড়া সুরে বললেন, ‘‘আপনাদের জেলায় কাল এসে উনি (মোদী) বলেছিলেন না ৪০ জন বিধায়ককে ভাঙাবেন। লজ্জা করে না! নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বেচাকেনা করছ!’’ এরপরই মোদীকে মমতার পাল্টা হুঙ্কার, ‘‘আমার একটা গেলে ১ লক্ষ তৈরি হয়ে যায়, তৈরি করার মানসিকতা রয়েছে।’’
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
হুগলির ভদ্রেশ্বরের সভায় এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘আপনাদের জেলায় কাল এসে উনি (মোদী) বলেছিলেন না ৪০ জন বিধায়ককে ভাঙাবেন। লজ্জা করে না! নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বেচাকেনা করছ! যাকে নিয়ে নেওয়ার নিয়ে যাও। কিচ্ছু যায় আসে না। একটা পেলে জোগাড় করো। তোমার দলের মতো আমার দল চোর নয়। তোমার দল টাকার বিনিময়ে চলে, আমার দল রক্তের বিনিময়ে চলে। আমার একটা গেলে ১ লক্ষ তৈরি করি, তৈরি করার মানসিকতা রয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে ঘোড়া কেনাবেচার কথা বলছেন লজ্জা করছে না! ওঁর প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে ‘যোগাযোগ রাখছেন’ মমতার ৪০ বিধায়ক! কী হবে ভবিষ্যতে?
তবে ওই ৪০ জন বিধায়ক কি তৃণমূলেই থাকবেন? মোদী কি ভাঙাতে পারবেন না? এ ব্যাপারে কোনও সরাসরি জবাব দেননি তৃণমূলনেত্রী। বিধায়ক ভাঙানো নিয়ে মোদীকে জবাব দিতে গিয়ে এদিন মমতা একবারও জোর দিয়ে বলেননি যে, ওই ৪০ জন বিধায়ক তৃণমূলেই থাকছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার শ্রীরামপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘দিদি, আপনার ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন’’। মোদী আরও বলেন, ‘‘২৩ তারিখের পর চারদিকে যখন পদ্মফুল ফুটবে, তখন সব বিধায়করা মমতাকে ছেড়ে পালাবেন।’’ মোদীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। এদিকে, মঙ্গলবার যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা বলেন, ‘‘মোদী যে ৪০ জন বিধায়কের কথা বলেছেন, তার মধ্যে ৫-৭ জন আমার কেন্দ্রের।’’