General Election 2019: পুরুলিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে তিনদিক খোলা মঞ্চ, সামনে বসে একঝাঁক দর্শক। লাউড স্পিকারে বেজে উঠল, ‘‘সুরজ হুয়া মধ্যম, চাঁদ জ্বলনে লগা’’। এরপর হঠাৎ কাল চশমা-স্যুট পরিহিত 'কিং খান'কে দেখা গেল মঞ্চে। চেনা গানের সুরে আইকনিক স্টাইলে তাল মেলাচ্ছেন তিনি। আরে এ তো পুরো শাহরুখ খান! তবে শুধু কী শাহরুখ, নয়ের দশকের বলিপাড়ার সেই সুপারহিট গান ‘ওলে ওলে’ বাজতেই আবির্ভাব হল আরেক হিরো 'সইফ আলি খানে'র। বলিউডের দুই সুপারস্টারের পাশাপাশি রাশভারী মুখে হাজির হলেন 'নানা পাটেকর'ও। এরপর সকলের মুখেই শোনা গেল মোদী বিরোধী স্লোগান। শাহরুখ, সইফ, নানা পটেকররা তবে কি মোদী বিরোধী হয়ে গেলেন? না চমকাবেন না। পুরুলিয়ায় তৃণমূলের প্রচারে এঁরা সকলেই ছিলেন, আবার ছিলেনও না। হ্যাঁ, শাহরুখ-সইফ-নানাদের ডামিদের ব্যবহার করে নির্বাচনী সভা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
তৃণমূলের প্রচারে শাহরুখ খানের ডামি! ঘটনাস্থল পুরুলিয়া#Decision2019 pic.twitter.com/GnUkdgmp4w
— IE Bangla (@ieBangla) April 27, 2019
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের বেনিয়াশোলে বলিউড তারকাদের ডামিদের দেখে সাড়া পড়ে গেলেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি নির্বাচনী সভায় শাহরুখ-সইফদের ডামিদের আনা হয়েছিল। এমনকি, সভার জন্য পুলিশের অনুমতিও নেয়নি ঘাসফুল শিবির, এমন অভিযোগই জানিয়েছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার বিজেপি নেতা কার্তিক তিওয়ারি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সবটাই নকল। আমরা কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। আবারও লিখিত অভিযোগ জানাব’’। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা তপন কুমার রায় বলেন, ‘‘এটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। দিদি সততার প্রতীক। কে নকল, তা ২৩ তারিখ প্রমাণ করবে মানুষ’’।
আরও পড়ুন: ফেরদৌসের পর এবার ভারত ছাড়ার নির্দেশ রাজচন্দ্রকে
পুরুলিয়ায় তৃণমূলের প্রচারে সইফ আলি খান ও নানা পাটেকরের ডামি#Decision2019 pic.twitter.com/UC2RRAKW4l
— IE Bangla (@ieBangla) April 27, 2019
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রচারে সিনেস্টাদের অংশ নেওয়া নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের প্রচারে বাংলাদেশের দুই অভিনেতা ফিরদৌস ও গাজি নুরের উপস্থিতি নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত দুই অভিনেতাকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ফিরদৌসের ভিসা বাতিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। দেশের নির্বাচনে কীভাবে বাংলাদেশের দুই অভিনেতাকে তৃণমূল প্রচারে শামিল করল, তা নিয়ে সুর চড়ায় বিজেপি। এমনকি, বাংলায় ভোটপ্রচারে এসে এ নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। দেশের নির্বাচনে এমন নজির আগে কখনও হয়নি বলে মন্তব্য করেন মোদী।
অন্যদিকে, শুক্রবার যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার হয়ে প্রচার করেন কুস্তিগীর 'দ্য গ্রেট খলি'। এ প্রসঙ্গে অনুপম বলেন, ‘‘খলি আমার খুব ভাল বন্ধু। বন্ধু হিসেবে আমার পাশে দাঁড়াতে এসেছে।’’