Lok Sabha Election Result in West Bengal 2019: বাঁকুড়া থেকে এবার আসানসোলে পা রেখেছিলেন তিনি। গতবার লোকসভা নির্বাচনে বাসুদেব আচারিয়ার মতো বাঘা প্রতিদ্বন্দীকে ভোটের ময়দানে হারিয়ে সংসদে পা রেখেছিলেন মুনমুন সেন। সুচিত্রা সেন কন্যাকে এবার বাঁকুড়ার বদলে আসানসোলে টিকিট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আসানসোলে মমতার ‘কৌশল’ কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত ‘বাচ্চা ছেলে’র কাছে হেরে যেতে হচ্ছে সুচিত্রা কন্যা মুনমুনকে। আর যা দেখে ভীষণই দুঃখ পেয়েছেন টলিউডের অভিনেত্রী মুনমুন সেন। ভোটের ফল নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই মিষ্টি হেসে মুনমুন জানালেন, ‘‘দুখ হো রহা হ্যায়’’।
#WATCH TMC Candidate from Asansol, Moon Moon Sen reacts on present trends,she is trailing BJP candidate Babul Supriyo by over 65,000 votes. #WestBengal pic.twitter.com/LFYfTTMMzb
— ANI (@ANI) May 23, 2019
আরও পড়ুন: আসানসোলে জয়ের পথে বাবুল, অনেক পিছিয়ে সুচিত্রা-কন্যা মুনুমন
আসানসোলে এই মুহূর্তে বাবুল সুপ্রিয়ের থেকে শত যোজন দূরে রয়েছেন মুনমুন সেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আসানসোলে আবারও জয়ের হাসি হাসছেন বাবুল। ফলে মুনমুনের হার ঘোষণা কার্যত সময়ের অপেক্ষা। প্রসঙ্গত, এবারের ভোটপ্রচারে নেমে একের পর এক মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন মুনমুন। ভোট চাইতে গিয়ে মুনমুন বলেছেন., “আজ আমার মায়ের জন্মদিন। ঘরে না গিয়ে তোমাদের কাছে এসেছি। তোমরা বলো, যে তৃণমূলকে একটা ভোট দেবে? আজকের দিনে আমাকে খুশি করে দাও। আমি তোমাদের জন্য থেকেছি। বলো, জোড়াফুলে ভোট দেবে?” এরপরই মুনমুন বলেন, “আমার মায়ের আত্মার শান্তির জন্য ভোট দিন, যে তার মেয়ে এসেছে। তার নাম রাখার জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রাখার জন্য ভোট দিন’’। ভোটের প্রচারে মুনমুনের ব্যানারে সুচিত্রা সেনের ছবি দেখা গিয়েছে, যা ঘিরে সমালোচনা হয়। এমনকি মুনমুনের জন্য ভোট চাইতে গিয়ে সুচিত্রা সেনের নাম করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয়কে ‘বাচ্চা ছেলে’ বলেও শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মুনমুন।
কেন আসানসোলে হারছে তৃণমূল? গোষ্ঠী সংঘর্ষের ক্ষত এখনো শুকোয়নি আসানসোলে। এই ঘটনার মাধ্যমে ধর্মীয় মেরুকরণই ভোটের ফলে প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। আসানসোল পুর নির্বাচনে বিপুল আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে সেই জয়ের ধারা এবারও ধরে রাখতে পারল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সময় যত গড়াচ্ছে আসানসোলে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পদ্মশিবির। উল্লেখ্য, খোদ আসানসোলের মেয়র জিতেন তিওয়ারির হাতেই ছিল মুনমুনের ভোট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব। তবু শেষ রক্ষা হল না। মনে করা হচ্ছে, মেরুকরণের রাজনীতিকে টেক্কা দিতে পারেনি ঘাসফুল। এই কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কয়লা পাচারের সঙ্গে আরএসএস যুক্ত। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল রাজ্য এসএসএস। উল্টে প্রশ্ন উঠেছিল, কয়লার কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত কে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কয়লার কালো কারবারিতে কে কে যুক্ত তা জানেন আসানসোলের বাসিন্দারা।