মোদীর সঙ্গে হিটলারের তুলনা টানলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে। বজেপির নির্বাচনী স্লোগান 'ফিরসে একবার মোদী সরকার' কে নিশানা করে খারগে বললেন, "ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে ভোট চায়নি", আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রে বাস করছি, এখানে দলের আদর্শের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া হয়"।
"হিটলারও নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেন। মোদীও তাই। আর.এস.এস এর সমর্থনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। গুজ্াতের বিধায়ক হওয়ার আগে উনি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। সাংসদ হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। এক্ষেত্রে দল কোনও ব্যাপারই নয়। মানুষ এখন সে সব বুঝতেই পারছে", বললেন খারগে।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের হয়ে ভোট চাইলেন ‘শাহরুখ-সইফ-নানা’! সত্যি?
কংগ্রেস নেতা মনে করছেন, ২০১৯ এর লোকসভায় বিজেপি কিমবা এনডিএ কেউই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না। "প্রথম তিন দফার ভোট থেকেই বুঝেছি বিজেপি অথবা এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবে না। এবার কংগ্রেস, তার শরিক দলগুলো বেশ বড় সংখ্যক আসন পাবে"।
রাজ থাকড়ের মোদী বিরোধী প্রচার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে খারগে বললেন, "আমাদের লড়াইটা বিজেপির আদর্শের বিরুদ্ধে। ধর্মনিরপেক্ষ শিবির ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে , সেটা খুব ভাল ব্যাপার"। তবে মুম্বইয়ের বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র নবনির্মান সংঘ (এমএনএস) -এর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট সম্ভাবনা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি খারগে।
"মোদী এর আগে সংসদের ভেতরে এবং বাইরে সরকারের কাজ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছিলেন, কোথায় তা? এয়ারস্ট্রাইক দেখিয়ে ভোট চাইছেন কেন? সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে ভোট চাওয়া তো ঠিক কথা না"। ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারেবিজেপি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন মোদী নীরব কেন? তিন বছর ধরে কালো টাকা নিয়ে অত কিছু বললেন, অথচ এখন তিন মিনিটের জন্যেও সেই প্রসঙ্গ তোলেন না। এনএসএসও রিপোর্ট কিন্তু বলছে ৪.৭৫ কোটি মানুষ বিমুদ্রাকরণের ফলে কর্মহীন হয়েছে। এখন মোদী তো একটাও কথা বলছেন না"।
Read the full story in English