General Election 2019: ষষ্ঠ দফার ভোট প্রচারে জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি। ১২ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে মূলত পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে। এর আগে মঙ্গলবার ভোট বাংলার প্রচার মাতালেন অমিত শাহ-রাহুল গান্ধী-মমতা বন্দোপাধ্যায়েরা। তবে এদিন চূড়ান্ত বিস্পোরক মন্তব্যটি করেন মততাই। পুরুলিয়ার জনসভা থেকে মোদী এবং অমিত শাহকে নিশানা করে মমতা বলেন, "যখন আমার নামে, আমার কাজের নামে কেউ কেউ মিথ্যা কথা বলে, ইচ্ছে করে ঠাটিয়ে গণতন্ত্রের থাপ্পড় দিই"। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে মোদী-শাহ সহ বিজেপির এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা বাংলায় প্রচারে এসে মমতা ও তাঁর সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
তৃণমূল নেত্রী আজ তাঁর প্রথম সভা করেন রানিবাঁধে। সেখানে বিগত পাঁচ বছরে উন্নয়নের খতিয়ান দেন তিনি। বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন "মোদীর দল দাঙ্গাবাজের দল। বিজেপি দাঙ্গা ছাড়া গত পাঁচ বছরে আর কোনও কাজ করেনি। আর আমি এখানে মাওবাদী সমস্যা দূর করেছি"। আগামী দিনে এই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প এবং নয়া জল প্রকল্পের ঘোষণাও করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা এবং মহিলাদের 'স্বাস্থ্যসাথী' কার্ড দেওয়ার কথা বলেন মমতা।
আরও পড়ুন ৫০ কোটির বিনিময়ে মোদীকে হত্যা? সত্যিই তাই বলেছেন তেজ বাহাদুর?
এদিন মোদীকে তোপ দেগে মমতা বলেন,"আপনার তো ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল? কোথায় সেই টাকা"? শুধু তাই নয় গ্যাসের দাম, ডিজেলের দাম নিয়েও তিনি তুলোধোনা করেন মোদীকে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "আচ্ছে দিনের নামে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশবাসীকে"।
অপরদিকে, ঘাটালের সভা থেকে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে মমতাদি অসন্তুষ্ট হচ্ছেন। রামের নাম ভারতে করব না তো কি পাকিস্তানে করব? রামের নাম বলবই, ক্ষমতা থাকলে আটকান’’। অমিত শাহের চ্যালেঞ্জের প্রতুত্ত্যরে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "মরে গেলেও, আমার মুখ দিয়ে বিজেপির স্লোগান বেরবে না। আমি বলব, জয় বাংলা, বন্দে মাতরম। আসলে মোদী ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন"। উল্লেখ্য, মোদীকে করা মমতার এই মন্তব্যের জবাবে কলকাতায় সভা করতে এসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মমতার উদ্দেশ্য বলেন, মমতা নিজে ধর্ম নিয়ে ভাবেন বলেই প্রত্যেক সভার শেষে 'সর্বমঙ্গল্য-মঙ্গল্যে' ধ্বনি দেন।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
আজ সারাদিনই মমতা-রাহুল-অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে একে অপরকে নিশানা করেছেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে রানিবাঁধের জনসভার মঞ্চ থেকে মোদীকে 'বসন্তের কোকিল', 'মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী' বলে কটাক্ষ করেন মমতা। রানিবাঁধের পর পুরুলিয়ার সাতুরির মঞ্চ থেকেও মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, "আমি গান লিখে, কবিতা লিখে টাকা রোজগার করি, এমপি, এমএলের মাইনেও নিই না। ছবি বিক্রি করেও টাকা নিইনি কোনওদিন। এটা আমার গর্ব। তাই কারও 'ধমকে-চমকে' আমি ভয় পাই না। সারাজীবন মার খেতে খেতে এখন এই জায়গায় দাঁড়িয়েছি"।