General Election 2019: প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিকের পর এবার নির্বাচন কমিশনের আতসকাচের নীচে নমো টিভি। প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের দিনই নমো টিভি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। অবিলম্বে নমো টিভির সমস্ত কনটেন্ট সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই কনটেন্টগুলোর কোনও অনুমোদন ছিল না। তাই অবিলম্বে ওই কনটেন্টগুলো সরাতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। অনুমোদন ছাড়া রাজনৈতিক বিষয়ের সম্প্রচার করা যাবে না নমো টিভিতে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, নমো টিভির সমস্ত প্রোগ্রামগুলোকে আগে অনুমোদন দিতে হবে মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটারিং কমিটিকে(এমসিএমসি)।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
এ প্রসঙ্গে দিল্লি সিইও-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নরেন্দ্র বুটোলিয়া বলেন, নমো টিভিতে সম্প্রচারিত কনটেন্টগুলোয় এমসিএমসি কমিটির কোনও অনুমোদন ছিল না। অন্যদিকে, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সব ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনও প্রোগ্রাম সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এমসিএমসি-র থেকে অনুমোদন লাগে। কিন্তু নমো টিভিতে সম্প্রচারিত রাজনৈতিক প্রোগ্রামগুলোর কোনও অনুমোদন ছিল না।
আরও পড়ুন: নমো টিভি বন্ধ করুন, নির্বাচন কমিশনকে কংগ্রেস-আপ
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের মুখে হঠাৎই নমো টিভি লঞ্চ করে চমক দেয় মোদীবাহিনী। ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সম্প্রচারের জন্যই বিজেপির এই নয়া চাল বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো। জোর বিতর্কের জেরে রাতারাতি নমো টিভির নাম বদলে রাখা হয় ‘কনটেন্ট টিভি’। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিতর্ক থামে না। নমো অ্যাপেরই একটা অংশ নমো টিভি, যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে দলের আইটি সেল, বিজেপির এহেন স্বীকারোক্তির পরই নড়েচড়ে বসে কমিশন।
গত কয়েকদিনে ভোটপ্রচারে মোদীকে বিঁধতে বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র এই নমো টিভি। নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নমো টিভির প্রসঙ্গ টেনেছেন। বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের সভাতেও এ নিয়ে মোদীকে একহাত নেন মমতা। অন্য বিরোধী দলগুলোও নমো টিভির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
Read the full story in English