তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে যারা প্রথম বার ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ২০১৯ এর নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হল মহিলাদের নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়ন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরুণদের জন্য তৈরি হওয়া সাইট ইনইয়ুথ এবং ইউভার এক সমীক্ষায় উঠে এল এমনটাই। এছাড়াও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, হিংসা, দুর্নীতির মতো বিষয়গুলোও রীতিমতো চর্চায় থাকছে তরুণ প্রজন্মের।
জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে দেশের ২৫টি শহরে ভ্রমণ করে ৬৫ টি কলেজের প্রায় ১০০০ জন তরুণ তরুণীর সঙ্গে কথা বলে সমিক্ষাটি করা হয়েছে। আইআইটি। এইমস, এনআইটি, এনআইএফটি-র মতো প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
" width="640" height="360" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">
দেশ জুড়ে সমীক্ষা চালানোর সময় ২৯ শতাংশ তরুণ তরুণী জানিয়েছে, বৈধ ভোটার কার্ড না থাকায়, অথবা কীভাবে তা বানাতে হয়, না জানায় ১৮ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও ভোট দিতে পারবে না তাঁরা।
৫৫.৬ শতাংশ তরুণ ভোটার 'রাজনীতি' সম্পর্কে নেতিবাচক মত পোষণ করে
১১.১ শতাংশ রাজনীতির ব্যাপারে উদাসীন
৩৩.৩ শতাংশ তরুণ মনে করছে রাজন্তি একটি ইতিবাচক বিষয়
সমীক্ষায় ধরা পড়ল মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যেই রাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা বেশি
রাজনীতির প্রতি ঔদাসিন্যের অন্যতম কারণ হিসেবে তরুণরা দায়ী করল রাজনীতিতে যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বের খামতিকেই
অধিকাংশ তরুণ তরুণী জানিয়েছে, তাঁরা দল দেখে নয়, প্রার্থী দেখেই ভোট দিতে পছন্দ করবে।
আরও পড়ুন, জঙ্গি হামলার জেরে শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হল মুখ ঢাকা পোশাক
২০ শতাংশের বেশি তরুণ ভোটার মনে করছেন এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নারী সুরক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়ন। তরুণীদের চোখে এই নির্বাচনে বাকি যে দিকগুলির কথা চিন্তা করে ভোট দেওয়া উচিত, তার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি, দারিদ্র। তরুণদের কাছে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং শিক্ষা।
দিল্লি, কলকাতা, হায়দরাবাদ, ব্যাঙ্গালোরের মত মেট্রো শহরে সাম্প্রদায়িক হিংসা, এবং দুর্নীতির ইস্যুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সদ্য ১৮ পেরনো পড়ুয়ারা। অন্যান্য শহরের তরুণতরুণীরা জোর দিচ্ছেন শিক্ষা এবং পরিকাঠামোর ওপর।
" width="759" height="422" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">
সোশাল মিডিয়া অপছন্দের পেছনে ওঠে এসেছে 'ভুয়ো খবর' (৪৭.১ শতাংশ) -এর মতো কারণ। সোশাল মিডিয়ার মিম সংস্কৃতিতে অরুচি ২০ শতাংশের। ২০.৬ শতাংশ মনে করে সোশাল মিডিয়ায় চরমপন্থা এবং সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায় খুব দ্রুত।
নোটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ৬৮ শতাংশ নতুন ভোটার। অনেকেই বলছেন এটা ভোটের প্রতিবাদ"।
৮৬ শতাংশ নতুন ভোটার 'উন্নয়ন' এবং 'আন্তর্জাতিক কুটনীতি'র জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করেছে। তরুণ ছেলেদের মধ্যে মোদীকে সমর্থন করার প্রবণতা বেশি। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, মোদীকে সমর্থন করলেও বিজেপিকে সমর্থন করছেন না অনেকেই। তাঁরা মনে করছে দল এবং প্রার্থীকে আলাদা করে দেখা উচিত।
আবার মোদীকে যারা সমর্থন করছেন না, তাঁদের অপছন্দের কারণ হিসেবে তুলে ধরছে বিজেপির 'সাম্প্রদায়িক রাজনীতি'র চরিত্র।
Read the full story in English