একদিকে যখন ইণ্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ শানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ঠিক তখনই নির্বাচনের ঠিক আগে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার মারাত্মক অভিযোগ এনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পালটা ময়দানে কংগ্রেস।
প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী বিজেপির নিন্দা করে বলেছেন, "দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, সংবিধান পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।" জয়পুরে এক সমাবেশে সনিয়া বলেন, , "মোদীজি দেশ ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন। বিরোধী নেতাদের ভয় দেখানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তাদের বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেন, "গত ১০ বছরে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, বৈষম্য, নৃশংসতার ঘটনায় শীর্ষে মোদী সরকার"।
রাজস্থানের জয়পুরে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র নিশানা করেন। সনিয়া তাঁর ভাষণে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেকে মহান মনে করে দেশ ও গণতন্ত্রের মর্যাদা ছিন্ন করছেন'। বিরোধী নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আজ গণতন্ত্র শেষের পথে। আমাদের সংবিধান পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে…''।
বিজেপিকে আক্রমণ করে সনিয়া গান্ধী বলেন, আমরা একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করব। দেশে আজ খাবার থেকে শুরু করে পানীয় সবকিছুই আকাশছোঁয়া। কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি জনসাধারণের কাছে অনেক প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতে জোট সরকার গঠিত হলে কংগ্রেস তার ইস্তেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে।
রাজস্থানের জয়পুরে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, 'আমরা যে ইস্তেহারটি প্রকাশ করেছি তার নাম দিয়েছি 'ন্যায় পত্র'। এর থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে এটি কেবল ঘোষণার তালিকা নয় যা আমরা নির্বাচনের পরে ভুলে যাব। এটা একটা সংগ্রামের কণ্ঠ, এই দেশের কণ্ঠস্বর। আজ বেকারত্ব চরমে, বেকারত্ব দূর করতে সরকার কি করেছে? প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু পূরণ করেনি। অগ্নিবীর সেই স্কিম যা মানুষের আশা-আঙ্কাখাকে ভেঙে দিয়েছে। কৃষকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী তাদের কথা শুনতে রাজি নন'।