১৩৫ কোটির পরে কংগ্রেসের কাছ থেকে ৫২৪ কোটি টাকা আদায়ের প্রস্তুতি, নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কার মুখে রাহুল-সনিয়া। এদিকে এই ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেখান থেকে কোনো স্বস্তি পায়নি দল। ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধারে আয়কর দফতরের একটি নোটিস এসেছিল জাতীয় কংগ্রেসের কাছে। সেই নোটিসে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিল কংগ্রেস। সেই নোটিসে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ইনকাম ট্যাক্স দফতর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলেই খবর। আদায় করা হতে পারে ৫২৩.৮৬ কোটি টাকা। সূত্রের খবর কংগ্রেস আইটি বিভাগকে এই টাকার কোন হিসাব দেয়নি। এই লেনদেনগুলি ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে৷ এর আগেও আইটি কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া হিসাবে আদায় করেছে।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ও সিনিয়র আইনজীবী বিবেক তানখা এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এর আগে ১৩৫ কোটি টাকা আদায় করে দলকে পঙ্গু করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের ফলে নির্বাচনের আগে দলকে আরও বড় ধাক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পঙ্গু হওয়ার আর কী বাকি আছে'?
এই মাসে, কংগ্রেস আয়কর দফতরের একটি নোটিসের বিরুদ্ধে আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের (ITAT) কাছে আবেদন করেছিল। দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধারের উপর করার স্থগিতাদেশ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। কিন্তু সেই আপিল খারিজ হয়ে যায়। এরপর ২২ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় দল। হাইকোর্ট কংগ্রেসের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এর আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নির্বাচনের আগে এই ধরণের পদক্ষেপকে অগণতান্ত্রিক বলে অভিহিত করেছিলেন এবং বলেছিলেন, "নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসকে আটকাতে দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে একটি বিপজ্জনক খেলা খেলা হয়েছে। সর্বত্র শুধু কেন্দ্রের বিজ্ঞাপন-প্রচার চলছে। সরকারের নির্বাচনী খরচের কোনো হিসাব নেই। বিজেপি কখনোই তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ দেয়নি। তারা শুধু আমাদের কাছে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাইছে। বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরণের কোন পদক্ষেপ হয় না'।
উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সারা দেশের ৫৪৩টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৭ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।