গোটা দেশের রং গেরুয়া! আর দিল্লিতেও সেই ট্রেন্ড! মোদি-ঝড়ে বিপক্ষ কার্যত কুপোকাত। আর সেই ঝড়ের সওয়ারি হয়েই লোকসভায় প্রথমবার পা রাখতে চলেছেন গৌতম গম্ভীর। তারকা ক্রিকেটার পূর্ব দিল্লি কেন্দ্র থেকে প্রায় জেতার মুখে। প্রতিপক্ষের প্রায় দ্বিগুন ভোট পেয়ে তিনি এখনই শীর্ষে। গম্ভীর রাজনীতির পীঠস্থানে পা রাখবেন একের পর এক কঠিন প্রতিপক্ষকে বধ করে। কংগ্রেসের হয়ে পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রেই প্রার্থী ছিলেন অরবিন্দর সিং লাভলি। আপ প্রার্থী অতিশী মারলেনা-ও নির্বাচনের সময়ে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। বিএসপি-র তরফে দাঁড় করানো হয়েছিল সঞ্জয় কুমার। তবে শেষ হাসি হাসছেন গৌতম গম্ভীরই। শুধু গম্ভীরই নন, দিল্লি এলাকায় মোট সাত লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপি-র তুফানের কাছে ধুয়েমুছে গিয়েছেন। ৭-এ ৭ বিজেপির।
গম্ভীরের নাম জয়ী হিসেবে ঘোষণা করার আগেই অবশ্য হরভজন উইশ করে ফেললেন জাতীয় দলের সতীর্থকে। ভাজ্জি টুইটে লেখেন, "ভাই তোমার জয়ের জন্য অভিনন্দন। আরও শক্তি তোমার কাছে।" এরপরে ভাজ্জি 'বিজেপিফরইন্ডিয়া' হ্যাশট্যাগও জুড়ে দেন তাঁর টুইটের সঙ্গে।
কিছুদিন আগেই গম্ভীরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কুৎসা-র কারণে মুখ খুলে সরাসরি হরভজন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন, "গম্ভীরকে নিয়ে যা চলছে, তাতে আমি রীতিমতো শকড। আমি ওঁকে ভাল করে চিনি। ও কোনও মহিলার সম্পর্কে খারাপ কথা বলতেই পারে না! ও নির্বাচনে হারবে না জিতবে সেটা পরের কথা। তবে ও এই সমস্ত বিষয়ের ঊর্ধ্বে।"
যাইহোক, গম্ভীর রীতিমতো ঝোড়ো ব্যাটিং করেই লোকসভায় যাচ্ছেন। বেশ কয়েকবছর ধরেই সচেতনভাবে ক্রিকেটার বৃত্তের বাইরে সমাজসেবী হিসেবে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলেছিলেন। দুঃস্থ লোকজনদের সাহায্য করা হোক বা লঙ্গরখানা খুলে গরিবদের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি, টুইটে তিনি বরাবর উগ্র জাতীয়তাবাদের পরিচয় দিয়েছেন। আর মোদি ঝড়ে সেটাই রীতিমতো সাইক্লোন হয়ে আছড়ে পড়েছে তাঁর কেন্দ্রে।