তাঁর মোদীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর সঙ্গে তুলনা টানা হল ১৯৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের। তুলনা টানলেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
দেবরার জনসভায় তিনি বলেন "বেড়ালের গলায় কাউকে তো ঘণ্টাটা বাঁধতেই হতো। ১৯৪২ এ ভারত ছাড়ো আন্দোলন হয়েছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। এবার হবে ফ্যাসিবাদী মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য"।
ক্ষমতায় থাকলে দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে নষ্ট করবেন মোদী, বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। "ভবিষ্যতে দেশে আর কোনও নির্বাচনই হবে না। ভোট দিয়ে আবার মোদীকে ক্ষমতায় আনলে দেশে গণতন্ত্র আর স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না। এটাই সঠিক সময়, আমরা মোদীকে দরজা টা দেখিয়ে দিই। এই সরকারকে কবর দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে", বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, শাঁখ বাজিয়ে, উলু দিয়ে বিজেপির হিন্দুত্বকে জবাব মমতার
তিনি আরও বলেন, "দেশে জরুরি অবস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছে না। এই ফ্যাসিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস হোক"।
"চা ওয়ালা থেকে চৌকিদার হয়েছেন মোদী। মিথ্যে কথা বলা চৌকিদার আমরা চাই না", বললেন তৃণমূল নেত্রী। "মোদী আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বাস্তবে কী হল? পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ল, সংখ্যালঘুরা, আদিবাসীদের ওপর যখন তখন হামলা হয়েছে, ওরা এখন নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন।
"মোদীর শাসনে দেশবাসী বিপন্ন। আমাদের এখন মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস, আম্বেদকর, রাজেন্দ্র প্রসাদ, স্বামী বিবেকানন্দের মতো নেতা দরকার। কিন্তু ওরা কার কথা বলে? নাথুরাম গডসের কথা বলে, মহাত্মার কথা না", বললেন মমতা।
Read the full story in English