General Election 2019: অশান্তি, উত্তেজনা কিছুতেই রুখতে পারল না ভোটারদের। শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনেও বোমাবাজি চলেছে, কোথাও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এমন অশান্ত পরিস্থিতি সত্ত্বেও বাংলার ৯ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৩ শতাংশের উপর। রবিবার সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৯ কেন্দ্রে মোট ভোটের হার ৭৩.৫ শতাংশ।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
কেমন হল শেষ দফার নির্বাচন? মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, ‘‘কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর ভোট শান্তিপূর্ণ। তিন প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানো হয়েছে। এক প্রার্থীর গাড়ি-সহ ২টি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে’’। এডিজি আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্ত বলেন, ‘‘মোট ৩৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ জন জখম হয়েছে’’।
এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে বিজেপি, এমন অভিযোগই তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, তা আগে কখনও দেখিনি এমন ঘটনা। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার পাল্টা অভিযোগ, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের লোকেরাই বোমা ছুড়েছে। উল্লেখ্য,উত্তর কলকাতা ও মথুরাপুরে বোমা ছোড়া রয়েছে।
বেশ কয়েকটি বুথে স্ক্রুটিনি ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। ফলতা, বজবজ, সাতগাছিয়া এলাকায় গোলমাল হয়েছে বলে দাবি করেছে পদ্মবাহিনী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল ও রিগিংয়ের অভিযোগ করেছে গেরুয়াবাহিনী। কমিশনকে পাঠানো বিজেপির চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ‘‘কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুরের ভাঙড়ে কমপক্ষে ২০টি বুথে হিংসার ঘটনার খবর মিলেছে। ওই কেন্দ্রের কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ভোটপ্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হোক’’। প্রসঙ্গত, যাদবপুর কেন্দ্রে অনুপম হাজরা অভিযোগ করেন, বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে মারধর করা হয়েছে। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাহুল সিনহার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবারে ‘আক্রান্ত’ বিজেপি
অন্যদিকে, কামারহাটি পুর এলাকায় গোলমালের খবর মিলছে। উদয়পল্লি বেসিক প্রাইমারি স্কুলে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। মুদিয়ালিতে কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়কে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। বসিরহাটে কয়েকটি বুথে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু।
Read the full story in English