General Election 2019: পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সব মহলের নজর ছিল ব্যারাকপুর কেন্দ্রে। ভোটের দিন যে শিল্পাঞ্চল উত্তপ্ত হবে তেমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। সোমবার সকাল সকাল ভোট শুরু হতেই মিলে গেল সেই আশঙ্কা। ভোটের শুরু থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে। সকালেই তৃণমূলের হামলার মুখে পড়ে রক্ত ঝরেছে অর্জুনের, এমনটাই দাবি। এরপর বেলা গড়াতে বিক্ষোভের আঁচ যেন ক্রমশ চড়ল। দুপুরের পর আমডাঙার তেঁতুলিয়া গ্রামে অর্জুন সিংকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অর্জুনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বহু গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হামলা থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। হামলার ঘটনায় জখম হন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার দুই প্রতিনিধি জয়প্রকাশ দাস ও শশী ঘোষ।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
প্রসঙ্গত, সকাল থেকে তেতে রয়েছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র। এদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ ২৪১ নং বুথের সামনে অর্জুনের ওপরে হামলা চালানো হয়। অর্জুন সিং সে সময় ওই এলাকায় কর্মীদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। অর্জুনের বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা গেরুয়া সমর্থকদের ভোটে বাধা দিচ্ছে এবং এজেন্টদের বসতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে, তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং ঘাসফুলকর্মীদের পাল্টা অভিযোগ, অর্জুন সিং এলাকায় আসার পরই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত অর্জুন, ব্যারাকপুরে পুনর্নির্বাচনের দাবি বিজেপির
অর্জুন সিংকে ঘিরে ফের বিক্ষোভ#Decision2019 #LoksabhaElections2019 pic.twitter.com/SylT1Ya4ru
— IE Bangla (@ieBangla) May 6, 2019
অন্যদিকে, একটি বুথে অর্জুন সিংকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। নৈহাটির বুথে অর্জুন সিংকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের। 'গো ব্যাক' স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘‘এসব তৃণমূলের সংস্কৃতি’’। নৈহাটিতে ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অর্জুন। ওই এলাকায় বহিরাগতদের দেখে তাড়া করতেও দেখা যায় অর্জুন সিংকে।
এদিকে, ব্যারাকপুরে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রকাশ জাভড়েকর সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘ব্যারাকপুরে খুব খারাপ ভাবে অর্জুন সিংকে মারধর করা হয়েছে। পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডারা রিগিং করেছে। শ্রীরামপুরের অনেক বুথেও ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে। মমতাদি হারছেন, তৃণমূল হারছে, তাই রিগিং করে ভোটে জিততে চাইছেন। ব্যারাকপুরে আমরা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি’’।