/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/dilip-subhendu-759.jpg)
শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ।
General Election 2019: ভোট বাংলায় হুমকি-পাল্টা হুমকি থামার লক্ষণই নেই। ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনের মুখে এবার কু-কথার লড়াইয়ে জড়ালেন তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী বনাম বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মাওবাদী নেতা কিষেণজির প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এখানে যে পেচি মস্তানগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার থেকেও বড় মস্তানকে জানো? কিষেণজি, আন্তর্জাতিক মস্তান। জঙ্গলমহলে আর আছে? যেমন ওষুধ তেমন ওষুধ আছে...’’। শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারির জবাব দিতে গিয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপের হুঙ্কার, ‘‘গুন্ডা-পুলিশকে দিয়ে বিজেপিকে আটকাবেন তো? বুকের উপর পা দিয়ে রাজনীতি করব’’। পাশাপাশি দিলীপ বলেন, ‘‘আজ যাঁরা আক্রমণ করছেন, তাঁদের ২৩ তারিখের পর পিটিয়ে মারব’’।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
কী বলেছেন শুভেন্দু ও দিলীপ?
বিজেপিকে নিশানা করে ময়নার সভায় প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ আমি একটু বাড়তে দেওয়ার সুযোগ দিয়েছি, আর বেশিক্ষণ লাগবে না, একটা অমাবস্যা গিয়েছে, আগামী অমাবস্যা দেখতে হবে না। এখানে যে পেচি মস্তানগুলো ঘুরছে, তার থেকে বড়মস্তানের নাম জানো? কিষেণজি, আন্তর্জাতিক মস্তান। কিষেণজি আছে জঙ্গলমহলে? যেমন ওষুধ, তেমন ওষুধ আছে আমার কাছে। আবর্জনা পরিষ্কার করব। কী ধরনের ব্লিচিং, ফিনাইল দিয়ে সাফ করতে হয় শুভেন্দু অধিকারী জানে’’। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলকে মাওবাদী মুক্ত করার 'কৃতিত্ব' দাবি করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলে মাওবাদী দমন নিয়ে বহুবার নির্বাচনী সভায় আওয়াজ তুলে থাকেন তৃণমূলনেত্রী। যে কায়দায় মাওবাদী দমন করেছে তৃণমূল সরকার, সেভাবেই বিজেপিকেও রোখার বার্তাই এদিন কার্যত দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: মমতার পাল্টা দিলীপ, গদা দিয়ে মাথাই ফাটাবো
এদিকে, শুভেন্দুর পাল্টা হিসেবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এসব সংলাপ আগেও শুনেছি। গুন্ডা-পুলিশকে দিয়ে বিজেপিকে আটকাবেন তো? বুকের উপর পা দিয়ে রাজনীতি করব। তমলুকে বলে যাচ্ছি একথা। ওঁরা ঠিক করুন, ২৩ মে-র পর কী করবেন! ওড়িশাতে জায়গা চাইলে খোঁজ করে দেব। না হলে জগন্নাথ দেখিয়ে বিহার-ঝাড়খণ্ডে পাঠিয়ে দেব। এই দাদাগিরি-জমিদারি আমি ভাঙব। আজ যাঁরা আক্রমণ করছে, ২৩ তারিখের পর তাঁদের পাড়া থেকে বের করে এনে পিটিয়ে মারব। যাঁর দম থাকবে, সে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানাক’’।