General Election 2019: তিনি যা বলেন, তাই সংবাদ শিরোনাম। রাজনীতির ময়দানে তাঁর সংলাপ বরাবরই বিশেষভাবে নজর কাড়ে। অতীতে তিনি পাচন খাওয়াবেন বলে রাজ্য রাজনীতিতে হুলস্থুল ফেলে দিয়েছিলেন। সেই অনুব্রত মণ্ডলের সাম্প্রতিক সংযোজন নকুলদানা। উনিশের লোকসভা ভোটের আগে ভোটার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সকলকে নকুলদানা খাওয়ানোর নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির সেই নিদান মেনে রাতারাতি বীরভূম জেলায় নকুলদানার চাহিদা লাফিয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এতদিন তাঁর দলের কর্মীরাই নকুলদানা বিলিয়েছেন। তবে এবার ভোটপ্রচারে গিয়ে নিজেই নকুলদানা বিলোলেন তৃণমূলের ‘কেষ্ট।’
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গুসকরায় ভোটপ্রচারে গিয়ে নিজে হাতে নকুলদানা বিলিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। হুড খোলা গাড়িতে চেপে দলের কর্মীদের নিয়ে এদিন প্রচারও সারেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: ভোটের বাজারে এবার নকুলদানা বনাম নিম্বুপানি!
প্রসঙ্গত, অনুব্রতর নকুলদানা তত্ত্ব নিয়ে ইতিমধ্যে তেতে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। অনুব্রত মণ্ডলের নকুলদানা সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। এ নিয়ে কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে অনুব্রতকে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। তবে তাতে তিনি যে এতটুকুও বিচলিত নন, তা তাঁর নকুলদানা বিলি থেকেই স্পষ্ট।
অন্যদিকে, ভোটের ময়দানে অনুব্রতর নকুলদানাকে টেক্কা দিতে মিহিদানা খাওয়ানোর কথা বলেছেন বোলপুরে গতবার তৃণমূল প্রার্থী তথা বর্তমানে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। এতেই শেষ নয়, নকুলদানার পাল্টা হিসেবে এই গরমে নিম্বুপানি খাওয়ানোর কথা বলেছেন বোলপুরের বাম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম। বাম প্রার্থীর কথায়, ‘‘নকুলদানা তো ভাল জিনিস, ওঁরা খেলে ভাল হয়। ওঁদের এনার্জি দরকার। সাধারণ মানুষের এনার্জি প্রচুর। নকুলদানার দরকার হবে না। ওঁদের কর্মীদের বরং খাওয়াক।’’ নকুলদানার পরিবর্তে উনি কী খাওয়াবেন? এ প্রশ্নের জবাবে ডোম বলেন, ‘‘আমাদের নুন-চিনি-জল, নিম্বুপানি খাওয়াব।’’
সব মিলিয়ে ভোটের দাওয়াই নিয়ে যতই বিতর্কের সম্মুখীন হন, নিজ হাতে নকুলদানা বিলি করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন অনুব্রত আছেন অনুব্রতেই।