General Election 2019: বাংলায় ভোট ময়দানে নকুলদানা-মিহিদানা পর্ব বিশেষ নজর কেড়েছে। আর এবার বীরভূমের মাটিতে নয়া দাওয়াই নিম্বুপানি। তবে তৃণমূল বা বিজেপি নয়, এবার নিম্বুপানির নিদান দিয়েছেন বোলপুরের বামপ্রার্থী তথা প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। অনুব্রত মণ্ডলের ‘নকুলদানা খাওয়ানোর’ মন্তব্যের পাল্টা রামচন্দ্র ডোম এদিন বলেন, ‘‘আমরা নুন-চিনির জল খাওয়াব, নিম্বুপানি!’’
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
শনিবার রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘নকুলদানা তো ভাল জিনিস, ওঁরা খেলে ভাল হয়। ওঁদের এনার্জি দরকার। সাধারণ মানুষের এনার্জি প্রচুর। নকুলদানার দরকার হবে না। ওঁদের কর্মীদের খাওয়াক।’’ নকুলদানার পরিবর্তে উনি কী খাওয়াবেন? এ প্রশ্নের জবাবে ডোম বলেন, ‘‘আমাদের নুন-চিনি-জল, নিম্বুপানি খাওয়াব।’’
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: এ দানা কেমন দানা?
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সকলকেই নকুলদানা খাওয়ানোর নিদান দিয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমে তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি। অনুব্রতর নকুলদানা তত্ত্ব রীতিমতো সাড়াও ফেলেছে বীরভূমে। ভোটের মরশুমে সেখানে নকুলদানার চাহিদাও রাতারাতি বেড়েছে। কয়েকদিন আগে তৃণমূলের ‘কেষ্টদা’র নকুলদানার পাল্টা মিহিদানা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা। এবার সেই নকুলদানার পাল্টা নিম্বুপানি খাওয়ানোর নিদান দিলেন রামচন্দ্র ডোম।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে পথচলতি মানুষকে সরবত খাইয়ে তৃণমূল বিধিভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার ভাই বিকাশ ভুঁইয়া ও জেলা কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরির বিরুদ্ধে স্থানীয়দের সরবত খাওয়ানোর অভিযোগ বিডিওকে জানিয়েছে বিজেপি। যদিও সরবত খাওয়ানোর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি তৃণমূলের।