বিদায়ী লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন ইন্দোর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁডাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিলেন। এ ব্যাপারে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি নিজেই।
১৯৮৯ সাল থেকে টানা এই কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতা সুমিত্রা মহাজন একটি খোলা চিঠি লিখে এ আসনে প্রার্থী ঘোষণায় দেরি হচ্ছে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, "আমি ভাবলাম দল হয়ত আমার জন্যেই দোনোমোনা করছে, সে জন্য আমি আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।"
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
সুমিত্রা মহাজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি কি ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন কিন্তু পার্টি তাঁকে টিকিট দেয়নি! তার উত্তরে তিনি বলেন, "আমি রাজনৈতিক মানুষ নই। আমি আমার বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি।" তিনি বলেন, তিনি জানতেন দল বয়সের হিসেব করছে, কিন্তু তাঁর জায়গায় অন্য কারও নাম ঘোষণা করতেও দ্বিধা করছে। তিনি আহত হয়েছেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুমিত্রা মহাজন বলেন, "আমার আর কিছু বলার নেই।"
এই কেন্দ্রে ভোট হবে ১৯ মে, শেষ দফায়। বিজেপি এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। সুমিত্রা মহাজন এ কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন ১৯৮৯ সাল থেকে। ২০১৪ সালে তিনি জিতেছিলেন ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ভোটে।
Lok Sabha Speaker Sumitra Mahajan's letter announcing that she doesn't want to contest the 2019 elections. She also asks why a candidate has not been declared yet from Indore, appeals to BJP to name a candidate pic.twitter.com/zruHJVCBXF
— ANI (@ANI) April 5, 2019
এ মাসেই ৭৬ বছর বয়সে পা দেবেন সুমিত্রা মহাজন। বিজেপি স্থির করেছে, দলের নেতারা ৭৫ বছরের পর থেকে আর সক্রিয় রাজনীতিতে থাকবেন না। তবে এ নিয়ম সকলের ক্ষেত্রে লাগু করা হচ্ছে না। বিজেপি এ বছর বেশ কয়কজন প্রবীণকে লোকসভা ভোটের টিকিট দেয়নি। তার মধ্যে রয়েছেন দলের প্রাক্তন সভাপতি লালকৃষ্ণ আদবানি এবং মুরলী মনোহর জোশী।
এর আগে ইন্দোরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ম্যায় ভি চৌকিদার নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও হাজির হননি সুমিত্রা মহাজন। টুইটারে যে সামান্য কয়েকজন বিজেপি নেতানেত্রী নামের আগে চৌকিদার বসাননি, সুমিত্রা তাঁদের একজন।
গত মাসে এক দলীয় সভায় তিনি বলেন, "ইন্দোর থেকে হয় আমি নয়ত নরেন্দ্র মোদী।" এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এ কথা তিনি বলেছিলেন মজা করার জন্যই। তবে নিজের বক্তব্য অস্বীকার করেননি তিনি।
এ কেন্দ্র থেকে কারা প্রার্থী হতে পারেন, সে নিয়ে বেশ কয়েকটি নাম ঘোরাফেরা করছে। এর মধ্যে রয়েছে, ইন্দোরের মেয়র এবং বিধায়ক মালিনী গৌড়, আরেক বিধায়ক ঊষা ঠাকুর, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, প্রাক্তন বিধায়ক ভাঁওয়ার সিং শেখাওয়াত এবং ইন্দোর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর লালওয়ানির নাম।