মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভোটের আগেই জোটের পথে রাহুল-মমতা-কেজরিরা। লোকসভা ভোটের আগেই জোট করছি, ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজধানীতে মমতা আরও বলেছেন, ''আমাদের কমন অ্যাজেন্ডা রয়েছে। জাতীয় স্তরে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।"
বুধবার দিল্লিতে বিরোধীদের ধর্না কর্মসূচির পর এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ফারুখ আবদুল্লারা। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে রাহুল, কেজরির পাশে বসে আগাম জোটের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিনের বৈঠক 'গঠনমূলক' হয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাগা আরও বলেন, "আমরা একসঙ্গে কাজ করতে দায়বদ্ধ।" মোদী সরকারকে হঠাতেই যে তাঁরা একে অপরের হাত ধরেছেন, একথাও বলেছেন সোনিয়া পুত্র। তবে বাংলায় জোট হবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রাহুল। এদিকে, মমতাও বলেছেন, দেশ বাঁচাতে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে লড়লেও, জাতীয় স্তরে সকলে একজোট হব।
আরও পড়ুন, কেজরির ধর্না মঞ্চে মমতা-ইয়েচুরি, নিশানায় মোদী সরকার
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেও সংসদে তৃণমূলের বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাহুল। অন্যদিকে, সংসদের বিক্ষোভে মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুলের 'চৌকিদার চোর হ্যায়' স্লোগান তুলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। যা ছিল কার্যত বিরোধী ঐক্যের ছবি। পাশাপাশি কেজরির ধর্নাতেও মোদীর বিরুদ্ধে সরব হন মমতা-সহ একাধিক বিরোধী নেতা।
আরও পড়ুন, সংসদে বিরোধী ঐক্যের ছবি, তৃণমূলের বিক্ষোভে রাহুল গান্ধী
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে মোদী সরকারকে হঠাতে গত বছরের শুরু থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে জাতীয় স্তরের বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে বারবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছরের শুরুতে কলকাতার ব্রিগেডের সভায় ২০জনেরও বেশি বিজেপি বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে এনে জোট বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। গত সপ্তাহেও মেট্রো চ্যানেলে মমতার ধর্না মঞ্চে বিজেপি বিরোধী জোটের ছবি ধরা পড়েছিল। এদিন রাতে বিরোধী জোটের ঘোষণায় উনিশের লড়াই মোদী বাহিনীর কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জ বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
Read the full story in English