Lok sabha vote: লোকসভা নির্বাচনের আগে বহু প্রতিক্ষীত রাম মন্দির উদ্বোধন বিজেপির জন্য লোকসভা ভোটে এক্সট্রা মাইলেজ দেবে বলেই মনে করেছিল রাজনীতিবিদদের একটা অংশ। কিন্তু খোদ অযোধ্যায় হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে বিজেপিকে। ভোট মিটলেও এনিয়ে তরজা কিন্তু এখনও অব্যাহত। এর মাঝেই ফৈজাবাদ সংসদীয় আসনে বিজেপির হারের কারণ পর্যালোচনার জন্য শুক্রবার রাতে এক বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে জেলা শাসকের সঙ্গে উত্তপ্ত বিনিময়ের পরে প্রত্যাহার করা হয় হনুমান গড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত রাজু দাসকে দেওয়া পুলিশি নিরাপত্তা।
সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন যোগী মন্ত্রীসভার দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীও। ছিলেন মন্ত্রী সূর্য প্রতাপ শাহি এবং জয়বীর সিং। ফৈজাবাদে বিজেপির পরাজয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে দায়ী করেন মহন্ত রাজু দাস। এই নিয়ে জেলাশাসক নীতীশ কুমারের সঙ্গে বাঁধে তুমুল তর্ক। শনিবার, মহন্ত দাস বলেন, যে তিনি বৈঠকে উপস্থিতি আধিকারিকদের সামনে জানিয়েছিলেন লোকদের বিজেপির পরাজয়ের জন্য দলীয় কর্মীদের কেবলমাত্র দায়ী করা উচিত নয়। উল্লেখ্য সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে আগের দুই মেয়াদের সাংসদ লালু সিং এসপির অবধেশ প্রসাদের কাছে পরাজিত হন। মহন্ত দাস হারের কারণ নিয়ে ব্যাখ্যায় জেলা প্রশাসনের উপরেও দোষারোপ করেন।
মহন্তের মতে, পুর্নবাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে ভোটের ঠিক আগে জেলা প্রশাসন অযোধ্যার জনগণকে নোটিশ দেয়। তাদের সম্পত্তি খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়। নির্বাচনের ঠিক আগে প্রশাসনের এই কাজে শাসক দলের উপর রোষ আসে সাধারণ মানুষের।
মহন্ত দাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ যখন ডিএমের সঙ্গে আমার তর্ক হয় তখনই তিনি এসএসপিকে নিয়ে তৎক্ষণাৎ মিটিং ছেড়ে চলে যান। আমি দু মিনিট পর বেরিয়ে দেখলাম আমার জন্য বরাদ্দ নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে" । জেলা শাসক নীতীশ কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “যখন থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে রাজু দাসের বিরুদ্ধে তিনটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে তখন থেকেই নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহারের জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগে দুজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একজনকে এখন এখন প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন : < Rahul Gandhi on PM Modi: ‘শিক্ষা মাফিয়াদের কাছে অসহায় মোদী’, NEET-PG বাতিলে কেন্দ্রকে তুলোধোনা রাহুলের >
কৃষিমন্ত্রী এবং অযোধ্যা জেলার ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সূর্য প্রতাপ শাহী, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “আমরা লোকসভা নির্বাচন এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক এবং প্রায় ৫০ জন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহন্ত রাজু দাসকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো না হলেও তিনি সেখানে পৌঁছান। বৈঠক চলাকালীন কিছুই হয়নি। জেলাশাসকের সঙ্গে তার যা হয়েছে তা বৈঠকের বাইরে হয়"।