/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/04/sadhvi-pragya-4.jpg)
শেষ পর্যন্ত অবশ্য় নাম বাদ দিতে হয় ভোপালের সাংসদকে
সাধ্বী প্রজ্ঞার অভিশাপে মারা গিয়েছিলেন মুম্বই সন্ত্রাস দমন শাখার প্রধান হেমন্ত কারকারে। মালেগাঁও জঙ্গি হামলায়য় অভিযুক্ত তথা ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা ঠাকুর নিজেই এই দাবি করেছেন। ২৬-১১ মুম্বই হামলার দিন জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন হেমন্ত কারকারে। মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ
সংবাদসংস্থা এএনআই প্রকাশিত একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রজ্ঞা ঠাকুর বলছেন, ”আমি হেমন্ত কারকারেকে বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যখন কোনও প্রমাণ নেই, আমায় ছেড়ে দিন। উনি বলেছিলেন, উনি প্রমাণ জোগাড় করে আনবেন কিন্তু আমায় ছাড়বেন না। আমি ওঁকে বলেছিলাম- আপনি শেষ হয়ে যাবেন।”
#WATCH Pragya Singh Thakur:Maine kaha tera (Mumbai ATS chief late Hemant Karkare) sarvanash hoga.Theek sava mahine mein sutak lagta hai. Jis din main gayi thi us din iske sutak lag gaya tha.Aur theek sava mahine mein jis din atankwadiyon ne isko maara, us din uska anth hua (18.4) pic.twitter.com/COqhEW2Bnc
— ANI (@ANI) April 19, 2019
প্রজ্ঞা ঠাকুরের দাবি, কারকারে নাকি প্রজ্ঞাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় তাঁকে শাস্তি দেওয়ানোর জন্য ভগবানের কাছে যেতে হবে কিনা। প্রজ্ঞা তাঁকে বলেছিলেন, ইচ্ছে হলে যেতে পারেন। এর পরই প্রাক্তন এটিএস অফিসার মারা যান বলে দাবি মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্তের।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার সময়ে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কামা হাসপাতালের সামনে আজমল কাসভ ও তার সঙ্গী আবু ইসমাইলের গুলিতে নিহত হন হেমন্ত কারকারে ও অন্য দুই পুলিশ কর্মী অশোক কামটে এবং বিজয় সালাসকর।
মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর এখন জামিনে মুক্ত। ওই বিস্ফোরণে ৬ জন মারা গিয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন ১০১ জন। জঙ্গি হামলা ঘটানো এবং তার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে অভিযোগ আনা হয়েছে। খুন থেকে শুরু করে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে ভোপালে বিজেপির প্রার্থী প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে।
Read the Full Story in English