করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই। মঙ্গলবার আশ্বস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার আবার একধাপ এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে এখনই লকডাউনের ভাবনা নেই নবান্নের। তাঁর মতে, লকডাউনে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এদিন মালদায় পরামর্শের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সঙ্কটজনক হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। মৃদু উপসর্গ থাকলে সেফ হাউসে থাকুন।তিনটি গ্রেড করা হবে। গুরুতরদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে। অসুস্থতদের সেফ হাউসে। কম অসুস্থদের হোম আইসোলেশনে।‘
তাঁর মন্তব্য, ‘আতঙ্কিত না হয়ে মানবিক হন। এবারও করোনা-ঝড় সামলানো যাবে। এবারও ঝড় সামলাব, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।‘ রাজ্যের করোনা পরিকাঠামো নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সেফ হাউস গুলিকে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ১১ হাজার বেড রয়েছে। আগামী দু’দিনে আরও ২ হাজার বেড যুক্ত হবে।‘
হাসপাতালের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘রোগী গেলে অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও রোগী যেন ফিরে না যায়।‘ মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যে ৬৭৯৩ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি। হোম আইসোলেশন ৫১,৫৯৩ জন রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৩,৮৮৮ জন। বেসরকারিতে ভর্তি ২,৯০৫ জন। ৮০টি হাসপাতালে ৭ হাজারের বেশি অক্সিজেন বেড রয়েছে। ৭০টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে।
এদিকে, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে । আজ বালুরঘাটের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন , এই করোনা পরিস্থিতি মানুষের তৈরি নয়, মোদির তৈরি। মমতার তোপ, 'ভোট প্রচারের জন্য বারবার বাইরের রাজ্য থেকে লোকজন এসেছে এই রাজ্যে । আর করোনা ছড়িয়ে দিয়ে চলে গেছে।‘ ফের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি জন্য বহিরাগতদেরই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বললেন, ‘বিভিন্ন সময় সভা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপির নেতারা দিল্লি থেকে এসেছেন । তাঁদের সঙ্গে এসেছেন বাইরের লোকেরা এবং এঁদের মাধ্যমে আরও বেশি করে ছড়িয়েছে ভাইরাস।‘