ভোটের চার দিন আগে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাকে ফোন করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে সাহায্য় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, শনিবার প্রথম দফার ভোটের দিন দাবি করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সহসভাপতি প্রলয় পাল। এবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে নির্বাচন। তার আগে বিজেপি নেতাকে মমতার ফোন প্রসঙ্গ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় কেন ফোন করেছেন? কী বলছেন বিজেপি নেতা? বিজেপি নেতা প্রলয় পাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আজ, শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ফোন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন আমি দিদি বলছি। আমি বললাম কে দিদি বলুনতো? আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি গো। তুমি তো ইয়ং ছেলে। অনেক কাজ কর। এবার একটু আমাদের সাহায্য করে দাও না। দেখবে কোনও অসুবিধা হবে না। আমি বললাম আপনাকে দেখে আমার পরিবার রাজনীতি করেছি। আপনার আদর্শ মেনে রাজনীতি করেছি। ২০১১-তে ফল ঘোষণার দিন ৫ জন ব্রাহ্মণ ডেকে যজ্ঞ করে মিটিং মিছিল করেছিলাম। জানতাম আপনি জিতবেন। তবু একটা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পাইনি।" এভাবেই তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে ২ মিনিট কথা হয়েছে প্রলয়ের।
নন্দীগ্রাম আগেও অশান্ত হয়েছে। প্রলয় পালের বাবা চিত্তরঞ্জন পাল ৪০ বছর ধরে বিরুলিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য়। ২০০৮ থেকে গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন চিত্তরঞ্জন। প্রলয় বলেন, "তৃণমূল আমলে বাকি আড়াই বছরে খুব সমস্য়ার মধ্যে বাবা পঞ্চায়েত চালিয়েছেন। ১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। সিপিএম মারধর করলে অধিকারী পরিবার সাহায্য করত।" তিনি বলেন, "আমাদের অধিকারী পরিবারের প্রতি আনুগত্য় আছে। সিপিএম কর্মীরা মারধর করলে অধিকারী পরিবার পাশে থাকত।" শেষমেশ দিদিকে কী বললেন? প্রলয়ের দাবি, "শেষে দিদিকে বললাম আপনাকে অংসখ্য ধন্য়বাদ। দিদি আমাকে ক্ষমা করবেন। দিদি পাল্টা বলেন, ভেবে দেখ ভাল থেকো।" রাজ্যের হাইভোল্টেজ নির্বাচন এবার নন্দীগ্রামে। এখানেই গাড়িতে পায়ে আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রলয়ের দাবি, "শুধু নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক নয়, দুই নম্বর ব্লকেও জিতবে বিজেপি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন