প্রথম দফার ভোট গ্রহণ আবহে শনিবার নারায়ণগড় আর পিংলায় ভোট প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নারায়ণগড়ের সভায় বল ছুঁড়ে অন্য ধরনের জনসংযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঞ্চে হাতে একটি প্লাস্টিকের ফুটবল নিয়ে দর্শকাসনে বসা এক মহিলাকে ডেকে নেন তিনি। সেই মহিলা এগিয়ে এলে হুইলচেয়ারে বসে হাতে করেই ছুড়ে দিলেন সেই ফুটবল। মহিলা সেই বল তালুবন্দি করতেই চিৎকার করে উঠলেন মমতা, ‘‘বোল্ড আউট, বিজেপি বোল্ড আউট। দেখলেন তো যেটা বলি সেটাই করি। ওই এক পায়ে এমন শট দেব না, বিজেপি তোমাকে কান মুলে রাজনৈতিক ভাবে মাঠের বাইরে বের করে দেব।’’
নারায়ণগড়ে সভার শুরুতেই একজনের উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বলটা মেরে দেখাও তো।’’ তারপর মমতার কথাতেই বোঝা যায় সেই বল বেশি দূরে যায়নি। তাই বলটা মঞ্চে চেয়ে নেন তিনি। নিজের বক্তব্যের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী সেই বল হাতে নিয়ে বলেন, ‘‘আমি তো বসে আছি। কী ভাবে খেলব। একজন মা, বোন চলে আসুন। সামনা সামনি বলটা আপনার হাতে তুলে দেব।’’ এগিয়ে আসা মহিলা বল লুফতে পারবেন কিনা সেটাও বারবার জিজ্ঞাসা করে নেন মমতা। মহিলা ‘হ্যাঁ’ সূচক ঘাড় নাড়লে হুইলচেয়ারে বসেই বল ছুড়ে দেন তিনি। তারপরেই সেই চিৎকার।
যখন রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে তখন পশ্চিম মেদিনীপুরে বসে বারবার অধিকারী পরিবারের দিকে আক্রমণ করেন মমতা। নাম না করে শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীকে ‘গদ্দার’ ও ‘মিরজাফর’ তকমা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘দুই গদ্দার ছিল। বাপ আর ব্যাটা। এখন বিজেপিতে গিয়ে জ্যাঠা হয়েছে। ওদের সম্বন্ধে যত বলি তত আমার ঘৃণা হয়। কেন বলুন তো। লজ্জাটা আমার। আমিই এত বাড়িয়েছি। আমিই এত দিয়েছি। যা চেয়েছে তাই দিয়েছি।’’
এদিকে, এদিন একটা অডিও ক্লিপ ঘিরে হইচই বাঁধে রাজ্য রাজনীতিতে। ভোটের চার দিন আগে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাকে ফোন করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার প্রথম দফার ভোটের দিন এমন দাবি করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে নির্বাচন। তার আগে বিজেপি নেতাকে মমতার ফোন প্রসঙ্গ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।