আশান্তি ও উস্কানি এড়াতে কোচবিহার রাজনৈতিক নৈতৃত্বের কোচবিহার প্রবেশে নিষধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। তার জেরে বাতিল হল মুখ্যমন্ত্রীর শাতলকুচি সফর। তৃণমূল সূত্রের খবর, আজ আর শাতলকুচিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত ব্যাক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার চতুর্থ দফার ভোট উত্তপ্ত হয় কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়াপাটকি এলাকা। সিআরপিএফ-এর গুলিতে প্রাণ যায় ৪ ব্যক্তির। যা ঘিরে রৈজনৈতিক চাপানউতোর চরমে পৌঁছায়। এরপরই কমিশন ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার প্রচার সভা থেকে জানান, রবিবারই শীতলকুচি গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। মমতার এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করে কমিশন। ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়। নজরদারি বাডা়নো হয়েছে কোচবিহার সীমানায়।
আরও পড়ুন- নেতী-নেত্রীদের কোচবিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের
তবে, এই নির্দেশের আগেই শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে পৌঁছে যান তৃণমূল নেত্রী। কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পর অনিশ্চয়তার মুখে পরে মুখ্যমন্ত্রীর শীতলকুচি সফর। যা এদিন বাতিল বলে তৃণমূল সূত্রে বলা হয়েছে। শাসক দলের তরফে জানানো হয়েছে যে, এদিন জলপাইগুড়িতে দু'টি জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা ও ১২টায় তাঁর জনসভা করার কথা নাগরাকাট ও রাজগঞ্জে। দুপুর ২টো থেকে বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কমিশন সূত্রে খবর, দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিবেক দুবের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ ওই রিপোর্টে উল্লেখ, রবিবার থেকেই বেশ কয়েকটি দলের নেতারা নিহত এবং আহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ওই এলাকায় যেতে পারেন৷ যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বেড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে৷ এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজনৈতিক নেতাদের কোচবিহারে প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে শীতলকুচিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন