General Election 2019: ভোটের মুখে বাংলায় ৪ শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের বদলি নিয়ে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ অফিসারদের অপসারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের মুখে রাতারাতি ৪ জন পুলিশ আধিকারিককে সরানো নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রে শাসকদলের ইশারাতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’’ একইসঙ্গে কমিশনের এহেন পদক্ষেপ ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ ও ‘খামখেয়ালি’ বলে ব্যক্ত করেছেন মমতা।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘‘৪ জন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক...কমিশনের এই সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট, খামখেয়ালি। কেন্দ্রে শাসকদলের ইশারাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’’
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে সরলেন কলকাতা-বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার
চিঠিতে মমতা এও উল্লেখ করেছেন যে, কয়েকদিন আগে বিজেপি নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সরাবে কমিশন। এ প্রসঙ্গে মমতা আরও লিখেছেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী একটি টিভি শো-তে বলেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ, তাই ৭ দফায় ভোট। এর প্রসঙ্গ টেনে মমতা চিঠিতে দাবি করেছেন, এ ঘটনাগুলো দেখেই সন্দেহ হচ্ছে যে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য কমিশন নিজে কাজ করছে নাকি বিজেপিকে সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করছে!
চিঠির শেষে মমতা এও লিখেছেন, কার নির্দেশে এভাবে রাতারাতি পুলিশ কর্তাদের অপসারণ করা হল, সে নিয়ে তদন্ত করে দেখা হোক। একইসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের অপসারণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানিয়েছেন মমতা।
এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মমতা বলেন, ‘‘আইপিএস অফিসারদের বদলি নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট। বিজেপির কথাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ভাল পুলিশ অফিসারদের কমিশন বদলাল। কিন্তু এতে আমাদের কোনও যায় আসবে না। আপনারা যদি পারেন আমাকে সরান প্রথমে।’’
প্রসঙ্গত, কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার-সহ ৪ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে বদলি করেছে নির্বাচন কমিশন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার থেকে সরানো হয়েছে অনুজ শর্মাকে। তাঁর জায়গায় এখন নতুন নগরপাল রাজেশ কুমার। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হয়েছে জ্ঞানবন্ত সিংকে। পাশাপাশি বীরভূম ও ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপারকেও বদলি করা হয়েছে।