General Election 2019: তিনি যখন সাংসদ হয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ২৯। সিপিআই(এম)-এর দুঁদে প্রার্থী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে দেশের সবথেকে কনিষ্ঠতম সাংসদ হিসেবে সেদিন সংসদ ভবনে পা রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সালটা ছিল ১৯৮৪। কাট টু ২০১৯। মাত্র ২৫ বছর বয়সে লোকসভার লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন মমতারই এক সৈনিক। রানাঘাটে এবারের তৃণমূল প্রার্থী বছর পঁচিশের রূপালি বিশ্বাস।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
মাস দুয়েক আগে সরস্বতী পুজোর আগের সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন রূপালির স্বামী তথা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। এরপর নিহত বিধায়কের স্ত্রীকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। দলের এই নবাগতা প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় এসে নিজের প্রথম সাংসদ হওয়ার স্মৃতিচারণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার বগুলার সভায় রূপালির কাঁধে হাত রেখে মৃদু হেসে মমতা বললেন, ‘‘আমিও একসময় কনিষ্ঠতম সাংসদ ছিলাম। ওকে দেখে ভাল লাগছে। সেদিনের কথা মনে পড়ছে’’
আরও পড়ুন: লোকসভায় তৃণমূলের নতুন মুখ কে কে? দেখুন, তালিকা
শনিবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বগুলার সভায় মমতা বেশ কয়েকবার রূপালির হয়ে ভোট চেয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘ও একেবারে বাচ্চা মেয়ে (রূপালি)। খুব ভাল মেয়ে। ওকে ভোট দেবেন। ওর সবে ২৫ বছর বয়স হয়েছে। ভাবছিলাম ও পারবে না। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ২-৩ দিন আগে ওর বয়স ২৫ হল। ও দেশের কনিষ্ঠতম সাংসদ হবে’’।
তবে রূপালিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিরোধীরা। রূপালির বয়স নিয়ে এর আগে সরব হয়েছে একাধিক বিরোধী দল। ২৫ বছরের কম বয়সীকে কীভাবে প্রার্থী করলেন মমতা, সে নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: বেশি কথা বললে মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেব, মোদীকে হুঙ্কার মমতার
এরপরই মমতা সহাস্য মুখে বলেন, ‘‘আমি একসময় কনিষ্ঠতম সাংসদ ছিলাম। ওকে দেখে ভাল লাগছে। সেদিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে’’।
তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের প্রসঙ্গ টেনে এদিন বগুলার সভায় মমতা বলেন, ‘‘আমাদের প্রিয় সহকর্মী সত্যজিৎকে নিষ্ঠুর ভাবে খুন করা হয়েছে, এই ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছি। সত্যজিতের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। দল সত্যজিতের পরিবারের পাশে রয়েছে’’।