নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে ২৪ ঘন্টা তৃণমূল সুপ্রিমোর ভোটপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। প্রতিবাদে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ১২টা থেকে ধর্না শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট আগেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে যান তৃণমূল নেত্রী। সেখানে একাই কালো অ্যাপ্রন পরে, গামছা কাঁধে হুইলচেয়ারে বসে কখনও ছবি আঁকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আবার কখনও চুপ করে বসে রয়েছেন।
Advertisment
এর আগেও নানা কারণে ধর্নায় বসেছেন মমতা। তবে সেগুলির সঙ্গে এবারে কমিশনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রীর প্রতিবাদের ধর্নায় ছবি বেশ ব্যাতিক্রমী। কারণ, মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একাই ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেই অন্যকোনও কোনও তৃণমূল নেতা-নেত্রী। এমনকী যেসব দলীয় উৎসাহী কর্মী, সমর্থক রয়েছেন তাঁরাও বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ধর্না অঞ্চলে তৃণমূলের ফ্লেগ-ফেসটুন, ব্যানার বা দলীয় কোনও পতাকাও নেই।
কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সোমবার মমতাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটপ্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্না উঠলেই মেয়ো রোড থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন বিধাননগরে। সেখানে রাত ৯টায় তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর সমর্থনে সভা করবেন তিনি। প্রচারে যাবেন বারাসতেও।
সেনা সূত্রে খবর, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের ধর্নায় সেনার অনুমতি মেলেনি। এদিন সকাল ৯.৪০-এ ই-মেলে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে তৃণমূল। এত কম সময়ের মধ্যে অনুমতির বিষয়টি জানানো সম্ভব নয় বলে সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেহেতু গান্ধিমূর্তীর এলাকাটি ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের অধীনে। তাই কোনও অনুষ্ঠান কিংবা মিছিল বা মিটিং করতে গেলে ভারতীয় সেনার অনুমতি প্রয়োজন। যদিও ময়দানে কোনও কর্মসূচির ক্ষেত্রে সেনাকে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই অনুমতি দিতে হয়। কিন্তু তৃণমূলের তরফে আজকে সকালে অনুমতি চাওয়া হলে, এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি সেনাদের তরফে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন