শেষ প্রচারেও কমিশনকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। উত্তর কলকাতা-শ্যামপুকুর কেন্দ্রের অন্তর্গত মিনার্ভা থিয়েটারে এদিন একুশের ভোটের শেষ ভার্চুয়াল প্রচার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বক্তব্য শুরু করার কিছুক্ষণ আগেই নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হুইল চেয়ারে বসেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষনকে স্বাগত জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।
কোভিড পরিস্থিতির জন্য দায়ী কমিশন। মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফ কমিশনের াধিকারিকদের ভূমিকা খুনের শামিল বলে তুলনা করা হয়। মমতা নিজের বক্তব্যের শুরুতেই সেই রায় সামনে এনে বলেন, 'মাদ্রাস হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। হাইকোর্ট স্পষ্ট বলেছে, নির্বাচন কমিশন দায় এড়াতে পারে না। নির্বাচন কমিশনকে তৃতীয় দফা থেকে বলছি সংযুক্তিকরণ চাই। কমিশন শোনেনি, কারণ ভোট হয়েছে বিজেপির মণ্ডল ধরে।'
মমতার সাফ ব্যাখ্যা, 'কেরল এক দফায় ভোট, তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট আসাম দুই দফায় ভোট, তাহলে বাংলায় আটটা দফা কেন?' দ্ব্যার্থহীন ভাষায় তিনি বলে, কোভিড বা়ড়িয়েছে কমিশন ও নরেন্দ্র মোদী। নিরপেক্ষ ভোটের দাবি তৃণমূল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলে এদিনও হুঙ্কার দিয়েছেন মমতা।
ভিনরাজ্য থেকে আরটিপিসিআর টেস্ট ছাড়াই বাহিনী নিয়ে আসা এবং জেলায় জেলায় ভিড় বাড়ানোর জন্যই বাংলায় করোনা বেড়েছে বলে মনে করেন মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, 'তিনমাস ধরে কলকাতায় বাহিনী আছে। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কোভিড ছড়াচ্ছে। স্কুল-কলেজ-স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে। আরটিপিসিআর টেস্ট হচ্ছে না।'
একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অপব্যবহাররের তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আসানসোলের প্রার্থী সায়নী বলছে, পোলিং এজেন্টদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ বলছে ভোট দিতে যাবে না। সব ক'টা সিটে হারবে, দালালি করেও। আমি কাঠগড়ায় দাঁড় করাব ইলেকশান কমিশনকে। মোদী এবং কমিশন দুই পক্ষই দায়ী।'
করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কেন্দ্রকেই দায়ী করছেন মমতা। সুর চড়িয়ে তিনি বললেন, 'মানুষ বিপদে, গণচিতা জ্বলছে, নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভরতার কথা বলছে। অক্সিজেন নেই, মেডিসিন নেই, ভ্যাকসিন নেই, কোথায় গেল, মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি, কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি।'
প্রচারের শেষ বেলায় কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, 'এটা বাংলাকে রক্ষা করার লড়াই। সবাই তাকিয়ে আছে বাংলার দিকে। বাংলা বাঁচলে সারা ভারতবর্ষ বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন