ফের ক্ষমতায় ফিরলে এবার বিধান পরিষদ তৈরি করা হবে। শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় তা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়সজনিত কারণে এবার ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে একাধিক বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাননি। এমনই বয়স্কদের বিধান পরিষদে ঠাঁই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়ও থাকবেন, দলের বহু উল্লেখযোগ্য প্রবীণ মুখ। এক্ষেত্রে বিধান পরিষদে স্থান পেতে পারেন, তৃণমূল সরকারের দু'বারের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, মন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসু সহ বেশ কয়েকজনের।
তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় বলেনছেন, 'মানুষ যা পছন্দ করেন, সবটা আমরা করতে পারি না তো। এবার ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকিট দেওয়া হয়নি। করোনার জন্য তাদের পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে কমিশন। কমিশনের পদক্ষেপকে সম্মান জানিয়েছি আমরা। এবার বিধান পরিষদ তৈরি করবে। সেখানে আমাদের যে সব বিদায়ী বিধায়ক ভোটে লড়াইয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন তাঁদের সদস্য করে নিয়ে আসব।'
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামেই লড়ছেন মমতা, ভবানীপুর থেকে বর্ষীয়ান শোভনদেব
ভারতের একাধিক রাজ্যে বিধান পরিষদ রযেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, উত্তর প্রদেশ, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা। এবার ফের তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে পশ্চিমবঙ্গে আরও একবার বিধান পরিষদের অস্তিস্ত চোখে পড়বে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বাংলাতেও বিধান পরিষদ ছিল। পরে তা তুলে দেওয়া হয়।
আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি নন্দীগ্রাম থেকে এবার ভোটে লড়াই করবেন। প্রার্থী ঘোষণার সময় মমতা নিজে বললেন, ''আমি নন্দীগ্রাম থেকে লড়ছি। যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা করব। ভবানীপুরে দাঁড়াচ্ছি না। ভবানীপুরে দাঁড়াচ্ছেন শোভনবদেব চট্টোপাধ্যায়। ওটা আমার হাতের মুঠোর আসন।'
২৯৪টির মধ্যে এদিন ২৯১ কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পং থেকে ভোট লড়াই করবে তৃণমূলের সঙ্গী দল। তালিকায় বিদায়ী বহু বিধায়ক বাদ পড়েছেন।
এবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার মমতা জানান, নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনি। সেজন্য সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব তিনি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে দিয়েছেন। তিনি ভোটে লড়ছেন না। তেমনই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ভোটে লড়তে রাজি হননি। তাঁর শরীর ভাল নয়। এছাড়া স্মিতা বক্সিকে কিছু কারণে টিকিট দেওয়া যায়নি। জটু লাহিড়ি, অমল আচার্যকেও টিকিট দিতে পারিনি। এদের বিধান পরিষদে স্থান দেওয়া হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন