মনোনয়ন পত্রের হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকের সভায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এবার ওই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের হয়ে ভোটের লড়াইয়ে তৃণমূল নেত্রী।
বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখনও ৬টি ফৌজদারি মামলা চলছে। একটি ২০১৮ সালে করা সিবিআইয়ের মামলা, বাকি পাঁচটি আসামে চলছে। কিন্তু হলফনামায় সেগুলোর উল্লেখ করেননি তৃণমূল নেত্রী। যা আদতে তথ্য গোপনের শামিল। অভিযোগের পরও কমিশন পদক্ষেপ না করলে 'অন্য ব্যবস্থা' নেওয়া হবে বলে জানান বিজেপি নেতা। কিন্তু কী সেই ব্যবস্থা সে সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু এদিন বলেন, 'মানীয়া মিথ্যাচার করছেন। ওনার বিরুদ্ধে ৬টা মামলা চলছে। একটা সিবিআইয়ের, বাকি পাঁচটা আসামে। কিন্তু হলফনামায় ওসব কিছু জানাননি মাননীয়া। আমি আজ প্রতিবাদ জানিয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছি।' এরপরই সভায় তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনেন তিনি। বলেন, 'আমরা ক্ষমতায় এলেই ওনাকে মিথ্যাশ্রী' পুরস্কার দেব।
গেরুয়া প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়েই বিজেপির এই কৌশল। কেন ৬ দিন বাদে উনি অভিযোগ করছেন। রাজনৈতিক ইস্যু থেকে ওরা সরে যাচ্ছে। আসলে নন্দীগ্রাম যে তৃণমূলের পাশে রয়েছে এর থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।'
নন্দীগ্রামে এবার ভোটর তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির হয়ে লড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী। সিপিএম লড়াইয়ে নামিয়েছে দলের যুব মুথ মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে। গত ১০ মার্চ হলদিয়ার এসডিও-র কাছে মনোনয়ন দাখিল করেন মমতা। পরদিনই একই জায়গায় মনোনয়ন জনা দেন শুভেন্দু। এদিন থেকেই স্ক্রটিনির কাজ শুরু হয়েছে। ১৭ তারিখ মনোনয়ন প্রত্য়াহারের শেষ দিন।
এর আগে হলফনামায় ভুল তারিখের উল্লেখ থাকায় পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের প্রার্থীপদ বাতিল করে দেয় আদালত। ফলে ২৯০ আসনে (মোট আসন ২৯৪। তৃণমূল প্রার্থী দেয় ২৯১টিতে। বাকি ৩টি জোটসঙ্গীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েচে।)বর্তমানে লড়াই করছে জোড়া-ফুল শিবির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন