জয় নয়, শেষ দু'দফায় ব্যবধান বৃদ্ধির লড়াই। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে তৃতীয়বার সরকারে আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সোমবার সাত সকালে ভোট দিয়েই এই দাবি করেন প্রত্যয়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সপ্তম দফায় ভবানীপুরের মিত্র ইন্সটিটিউশনে ভোট দেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটদান শেষে তিনি বলেন, 'সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৃণমূল পেয়ে গিয়েছে। এখন আসন বাড়ানোর পালা। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে তৃতীয়বার সরকারে আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।'
বাম-কংগ্রেস ও নবাগত আইএসএফ কে জোট গড়ে লড়লেও একুশে বাংলার ভোট মূলত বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে টক্কর। এবারের বঙ্গ ভোটকে 'মমতা-মোদী'র লড়াই হিসাবেই দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে 'দিদি'র সেনাপতি অভিষেক। বাংলায় ভোটের প্রচারে এসে মমতা, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে 'দুর্নীতি-তোলাবাজি'র অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন মোদী-শাহ সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নিশানা করা হয় যুব তৃণমূল সভাপতিকেও। বিজেপি নেতাদের দাবি ২০০ আসন পেয়ে জিতবে পদ্ম শিবির।
অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেছেন বাংলায় জয়ের স্বপ্ন বিজেপির অধরাই তাকবে। খুব বেশি হলে গেরুয়া বাহিনী ৭০-৭৫ আসন পেতে পারে। ফলে বাংলা দখল নিয়ে উভয় শিবিরের দাবি, পাল্টা দাবির মধ্যেই এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যয়ী কণ্ঠে জয়ের দাবি বেস গুরুত্ববাহী।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। এর জন্য এদিন কমিশনকে দায়ী করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, 'করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই অবস্থাতেও এ রাজ্যে আট দফাতেই ভোট করাচ্ছে, শুধুমাত্র একটি পার্টিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য৷'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন