লোকসভার আগে জনসমাবেশ করতে পারলেন না ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বক্তব্য না রেখেই সিপাহিজালার মোহনভোগে সমাবেশস্থল থেকে ফিরে আসতে হয় মানিক সরকারকে। বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে কোনও বক্তব্য রাখতে পারেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, অভিযোগ ত্রিপুরা সিপিআই(এম) সেক্রেটারি গৌতম দাস।
"মানিক সরকার বৃহস্পতিবার সিপাহিজালা এবং তাইবান্দাল জেলা পরিদর্শনে এসেছিলেন। মোহনভোগে ওনার দ্বিতীয় সভায় বিজেপির গুণ্ডারা বিক্ষোভ দেখায়। 'মানিক সরকার গো ব্যাক' স্লোগান ওঠে সভায়", শুক্রবারের এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন গৌতম দাস।
নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে ত্রিপুরার কমিউনিস্ট পার্টি। বুধবার সিপিআইএম এর পশ্চিম ত্রিপুরার লোকসভা প্রার্থী শঙ্কর প্রসাদ দত্ত অভিযোগ করেন, বিজেপি সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রচারের সময় একাধিকবার তাঁকে আক্রমণ করেছেন। পূর্ব ত্রিপুরার প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরীও সেইরকমই অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন, Narendra Modi interview: ‘‘পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিতে আমার সমস্যা নেই, তবে দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক’’
শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম দাস জানিয়েছেন শঙ্কর প্রসাদ দত্তকে বিগত এক সপ্তাহে চার বার আক্রমণ করা হয়েছে। শেষ এক বছরে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের শাসনকালে ১৬০০ জন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যকে আক্রমণ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধেবেলায় পশ্চিম ত্রিপুরার লোকসভা প্রার্থী সুবল ভৌমিকের কনভয় লক্ষ করেও আক্রমণ করা হয়। মানুষের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি জোট। এই কারণ দেখিয়ে গত সপ্তাহেই বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সুবল ভৌমিক। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "আগে থেকেই আমার নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতই সিপাহিজালায় যাচ্ছিলাম। ইন্দিরানগরের কাছে বিজেপির গুণ্ডারা আমার গাড়ির ওপর হামলা করে। পুলিশ এসে আমায় উদ্ধার করে"।
তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব লোকসভার আগে রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তারানিকান্তির ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভৌমিক। প্রাক নির্বাচনী হিংসার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তাঁর নামেও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন সুবল ভৌমিক।
হামলা প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "বিক্ষোভে বিজেপি সমর্থকরা ছিলেন না। সাধারণ মানুষই মানিক সরকারকে কালো পতাকা দেখিয়েছেন। এটা গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ ছিল। আগামী দিনে কমিউনিস্টরা মানুষের থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে"।