কয়েক দশকের বৈরিতা শেষ। এবার উত্তরপ্রদেশে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের সর্বোচ্চ চেহারা দেখে ফেলল মৈনপুরী। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের এই লোকসভা কেন্দ্রে মায়াবতী ভোট চাইলেন মুলায়মের জন্য, মুলায়ম জনতাকে বললেন বসপা নেত্রীকে শ্রদ্ধা করার কথা।
সেই ১৯৯৫ সাল থেকে সপা-বসপার ঝামেলা শুরু। সপা সরকার থেকে তখন সমর্থন তুলে নিয়েছে বসপা। এর পর সরকারি এক গেস্ট হাউসে সমর্থকদের সঙ্গে শিবির করেছিলেন মায়াবতী। সেই গেস্ট হাউসে হামলা চালায় কিছু লোকজন। অভিযোগ, হামলা করেছিল সমাজবাদী পার্টির সমর্থকরা।
মুলায়ম সিং যাদব, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিষয়ে কী বললেন মায়াবতী তার ঝলক
১) মুলায়ম সিং যাদব যে সমাজবাদী পার্টির মাধ্যমে সারা উত্তর প্রদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই।
২) মুলায়ম সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মত ভুয়ো ওবিসি নন।
৩) প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর জন্য ভুয়ো দরদ দেখাচ্ছেন। তবে তাঁর জুমলা এবারের ভোটে কাজ করবে না।
৪) জনসাধারণ এবং দলের দিকে তাকিয়ে অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিএসপি উত্তর প্রদেশে এই লোকসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৫) কংগ্রেস সামান্য অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তাতে পিছড়ে বর্গের কোনও সত্যিকারের সুরাহা হবে না।
৬) মৈনপুরীর ভোটারদের কাছে কংগ্রেস ও বিজেপিকে হারানোর আর্জি জানান মায়াবতী।
৭) প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং উচ্চবর্ণের প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে ভান করছেন।
৮) জন্মসূত্রে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত বলে পরিচয় দিয়ে নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন।
৯) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরও কেন্দ্র ও রাজ্যে লক্ষ লক্ষ সরকারি পদ খালি পড়ে আছে।
১০) স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশে ক্ষমতায় থেকেছে হয় কংগ্রেস নয় বিজেপি। কংগ্রেস কেন্দ্রে ও বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তাদের নীতির কারণে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
১১) বিজেপি লোকসভা ভোটে এবার হারবে তাদের নীতির কারণেই। ওদের জুমলাবাজি এবার আর কাজ করবে না।