কোভিডের বাড়বাড়ন্ত। তার মধ্যেই বাংলায় হয়েছে আট দফায় নির্বাচন। আর এতেই সংক্রমণের সংখ্যা কয়েক গুঁণ বেড়েছে বলে অনুমান। বিধি রক্ষায় কমিশন 'উদাসীন'। ইতিমধ্যেই আদালত ভর্ৎসনা করেছে নির্বাচন কমিশনকে। তারপরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। ভোট গণনার দিন বা তার পরে বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। কিন্তু, রবিবার বেলা বাড়তেই সেই নিষেধাজ্ঞকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বেড়েছে উদ্বেগ। উধাও কোভিড বিধি। আর এতেই ক্ষুব্ধ কমিশন।
কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারির জন্য ইতিমধ্যেই কমিশনের রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছে। কেন বিধি পালন হচ্ছে না তা দেখার কথা জানিয়েছে। এরপরই প্রশানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিধি ঠিক মতো বলবৎ হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্বে যেসব সরকারি অফিসার ও কর্মীরা রয়েছেন প্রয়োজনে তাঁদের সাসপেন্ডের কথাও বলে হয়েছে।
বাংলার মানুষ ফের তৃণমূলের পক্ষেই রায় দিয়েছে। ভোটের ট্রেন্ডেই তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। ২০০ আসনে এগিয়ে রয়েচে জোড়া-ফুল শিবির। আর এতেই উচ্ছ্বাস, উন্মাদনায় বুঁদ তৃণমূলের সৈনিকরা। সবুজ আবীর, তেরঙ্কা পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন তাঁরা। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক, সামাজিক দূরত্ববিধি তো দূরঅস্ত। এই উচ্ছ্বাসের জেরেই বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশহ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাই তড়িঘড়ি কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন