বাংলায় প্রত্যাবর্তন না পরিবর্তন? স্পষ্ট হতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তার আগেই শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে জল্পনা বাড়ালেন 'মহাগুরু' মিঠুন চক্রবর্তী।
কেন হঠাৎ রাজভবনে মিঠুন? সূত্রের খবর, 'বাঙালিবাবু'কে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। এটা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হচ্ছে রাজভবনের তরফে। তবুও পর্দার 'ফাটাকেষ্ট'কে ঘিরে জল্পনা থামছে না। একাংশের বিশ্লেষকদের মতে, বাংলায় পদ্ম ফুটলে মিঠুনই হবে সরকারের মাসিহা। সেই প্রেক্ষাপটে মিঠুন-ধনকড় সাক্ষাৎ ঘিরে চর্চা তুঙ্গে।
বঙ্গভোটে গেরুয়া শিবিরের প্রচারের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন বলিস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে ঘিরে ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ- প্রচারে চষে বেড়িয়েছেন তিনি। এমনকি মুম্বই থেকে ভোটার কার্ডও কলকাতায় স্থানান্তর করেছেন। গত বৃস্পতিবার ভোট দিয়ে মিঠুন বলেছিলেন, 'ভালোভাবে ভোট দিন। এটাই আমাদের গণতন্ত্র। এত সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ভোট আগে দেখিনি। খুব খুশি।'
উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণা পর বিজেপির ব্রিগেড মঞ্চে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন মিঠুন চক্রবর্তী। ওই দিনটিকে তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো স্বপ্নের মতো বলে জানিয়েছিলেন একদা জোড়াবাগানের বাসিন্দা। দেশ ও গরিব মানুষের জন্য ভাল কাজের স্বপ্ন বাস্তবায়ণের এটাই সেরা সুযোগ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মঞ্চেই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, 'আমি জল ঢোরাও নই, বেলে বোরাও নই। আমি একটা কোবরা। আমি জাত গোখরো…এক ছোবলে ছবি। এবার কিন্তু এটাই হবে। দাদার প্রতি ভরসা রাখবেন। আমার কথায় বিশ্বাস রাখবেন। দাদা কোনওদিন মুখ ফিরিয়ে পালিয়ে যায়নি। আমি সব সময় পাশে থাকব।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন