আট দফা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে ২৭ মার্চ। আদীবাসী অধ্যুষিত জেলার ৩০ আসনে ভোট রয়েছে। তার আগে আজই শেষ রবিবার। ফলে হেভিওয়েটদের প্রচার ঘিরে জমজমাট থাকবে দক্ষিণবঙ্গ। গতকাল খড়গপুরের পর আজ ফের প্রচারে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজ অনগ্রসর শ্রেণির ভোটে নজর রেখে বাঁকুড়ায় প্রচার করবেন নমো। আসছেন গেরুয়া দলের 'চাণক্য' অমিত শাহও। কলকাতা, এগরায় জনসভা রয়েছে তাঁর। এগরার সভায় শাহী মঞ্চে দেখা যেতে পারে কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে।
এদিন কার্পেট প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পূর্ব মেদিনীপুরে তিনটি নির্বাচনী সভা রয়েছে মমতার। এই জেলা এতদিন অধিকারী গড় বলে পরিচিত ছিল। তারপর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর সেখানকার রাজনৈতিক বিন্যাসে বদল ঘটেছে। নন্দীহ্রাম থেকে ভোট লড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষ বিজেপির শুভেন্দু। এই জেলা যে আদলে তৃণমূলের গড় তা ভোটের ফলে তা প্রমাণে মরিয়া তৃমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি ময়না, পাঁশকুড়া, চণ্ডীপুরে সভা করবেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
শনিবারই প্রচারে এসে তৃণমূল সরকারকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলকে 'নির্মতার পাঠাশালা' বলে বিঁধেছেন মোদী। খড়গপুর থেকে তিনি বলেছেন, 'দিদি বাংলার যুবকদের ১০ বছর ছিনিয়ে নিয়েছে। দিদির পার্টি হচ্ছে নির্মমতার পাঠশালা। দিদির পাঠশালার সিলেবাস হল দুর্নীতি-তোলাবাজি-কাটমানি-সিন্ডিকেটরাজ।' দুর্নীতি-তোলাবাজি ইস্যুতে একুশের নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের নিশানায়। শনিবাসরীয় প্রচারে মোদীর বাণে বিদ্ধ হয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতিও। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'গোটা দেশে একটাই উইন্ডো চলছে। আর বাংলায় চলছে ভাইপো উইন্ডো।' এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে জোড়া-ফুলের বিরুদ্ধে আর কী অভিযোগ তোলেন মোদী সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে, মোদীর কটাক্ষের জবাব শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের সভায় দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছিলেন, 'বিজেপি আসলে তোলবাজ-গুন্ডারাজের দল। যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন তারা আসলে দুর্নীতির অভিযোগ মুছতে গিয়েছেন।'
প্রচার ঘিরে আপাতত জমজমাট ভোটের বাংলা। প্রথম দফায় জঙ্গমহলের জেলাগুলোর যে ৩০ আসনে ভোট লোকসভার নিরিখে তার অনেকগুলোতেই পিছিয়ে তৃণমূল। একেশের নির্বাচনে হারানো ভোট পুনরুদ্ধারই যেমন লক্ষ্য জোড়া-ফুলের, তেমন জয়ের হাসি ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ পদ্ম বাহিনীর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন