প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। গত ১ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় নির্বাচনী প্রচারের সময়ে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি আচরণবিধি ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পাঁচ কংগ্রেস নেতা।
রাহুল গান্ধীর ওয়ানাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ওইদিন মোদী বলেছিলেন, "কংগ্রেস সংখ্যাগুরু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ক্রমশ পালিয়ে গিয়ে সংখ্যালঘুরা যেখানে সংখ্যাগুরু সেখানে আশ্রয় নিচ্ছে।" তিনি সেদিন আরও বলেছিলেন কংগ্রেস হিন্দুদের জঙ্গি বলে আখ্যা দিচ্ছে এবং মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না।
মোদীর মন্তব্যকে "ঘৃণাভরা, জঘন্য এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী" আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস গত ৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিও তোলা হয়। মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন যাতে পদক্ষেপ করে, সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। এর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কমিশন এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানিয়ে দিল।
একটি পৃথক সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং রামপুরের প্রার্থী আজম খানের নির্বাচনী প্রচার ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার নির্দেশ। বুধবার সকাল ৬টা থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।
ওয়ার্ধায় মোদীর ভাষণ নিয়ে কমিশন যে ক্লিন চিট দিয়েছে, তা মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে। গত ৬ এপ্রিল তিনি এ রিপোর্ট পেশ করেন। সে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদী জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ (৩এ) এবং ১২৫ ধারা ভঙ্গ করেননি।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূরজেওয়ালাকে দেওয়া চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, "বিষয়টি ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির আওতায়, এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে দেখে কমিশন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে এ ব্যাপারে কোনও বিধিভঙ্গ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।"
Read the Full Story in English