মাত্র চার দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে জোড়া সভা করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ফের এলেন কোচবিহারে। মোদীর এই সভা থেকেই বেশ স্পষ্ট বাংলাকে এবার তিনি কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন। এর আগে বাংলায় এসে মমতাকে উন্নয়নের 'স্পিড ব্রেকার' বলে সম্বোধন করেছিলেন তিনি। রবিবারের সভাতেও একই শব্দবন্ধ ব্যবহার করলেন নমো।
কোচবিহারের রাজবংশী গৌরবকে স্মরণ করে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখা শুরু করলেন।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোচবিহারের মানুষের উদ্দেশে কী বললেন মোদীঃ
* খুব শিগগির দেশ জুড়ে টেলিফোনে কথা বলতে কোনও খরচাই হবে না
* ইন্টারনেট পরিষেবা সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা হবে
* সভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বিজেপি কর্মীদের। মঞ্চ তৈরি করতেও বাধা দেওয়া হয়েছিল, এসব নিতান্তই অপরিণত আচরণ। এত বাধা সত্তেও রাজ্যের মানুষ আমাদের ভালবেসেছে, আমাদের সমর্থন করছে
* দিদি যেখানেই আছেন, সেখানেই থাকুন। আপনাদের আমার প্রতি ভালবাসা একজনের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে, জনসমর্থন চলে গেলে কী অবস্থা হয়, দিদি দেখছেন। খামোখাই নির্বাচন কমিশনের ওপর রাগ দেখাচ্ছেন
* বিজেপিকে মানুষ ভোট দেওয়ায় অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। জঙ্গির ঘরে ঢুকে ভারত মারবে, সেটা এক সময় ভাবাই যেত না, চৌকিদার আসার পর থেকে ছবি পাল্টেছে। আগে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সরকারের হাত পা কাঁপত। মিশন শক্তির ঘোষণার পর দিদির খুব কষ্ট হয়েছিল, এখন সারাদিন তিনি মোদী হঠাও মন্ত্র জপ করেন
* রাজ্যে পিসি-ভাইপোর সরকার অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে
* রাজ্যের ১ কোটি মানুষকে ৪ লক্ষ টাকা চিকিৎসার সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্র, কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র। দিদির সরকার তা বাস্তবায়িত করতে দেয়নি। গরিবদের জন্য বাড়ি তৈরি করার প্রকল্পে বাধা দিয়েছে রাজ্য সরকার
* দিদিকে শিক্ষা দিতে রাজ্যে পদ্মফুল ফোটান
কেন সপ্তম বেতন কমিশন লাগু করা হচ্ছে না? পাস করা সত্তেও কেন চাকরি পাচ্ছেন না প্রার্থীরা?
* পাশের রাজ্যে ত্রিপুরাতেও বামেরা অরাজক শাসন চালিয়েছিল। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিতে আস্থা রেখে তাঁদের ক্ষমতায় এনেছে। বাংলার মানুষ কিন্তু তা করেনি। ত্রিপুরায় বাম মডেল ছেড়ে উন্নয়নে জোর দিয়েছে বিজেপি সরকার। আর বাংলায় মমতা ব্যানার্জি উন্নয়নের শর্টকাট পদ্ধতি নিয়েছেন