তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিজেপি এই নির্বাচনে যথেচ্ছ টাকা খরচ করছে, এমনকী আরএসএসও টাকা ওড়াচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ অভিযোগের জবাবে মুকুল রায় বললেন, "উনি(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছু জানেন না। এত দিন এসব তো ওঁকে করতে হয়নি। দলের খরচের হিসাব ঠিক সময়ে বিজেপি দেবে। এই নিয়ে ওঁকে চিন্তা করতে হবে না। মুকুল রায় বলেন, "প্রার্থীর খরচে সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু দলের নেই। খবর আছে ওঁর এক ঘনিষ্ঠ ওঁর এক সহকারীকে নিয়ে টাকা খরচ করছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই অভিযোগ জানাব। মমতার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে।"
যাদবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অনুপম হাজরার সমর্থনে প্রচার করতে এসেছিলেন ডাবলু ডাবলু ই চ্যাম্পিয়ন দ্য গ্রেট খালি। একজন মার্কিন নাগরিক হওয়ৈ সত্ত্বেও তিনি অনুপমের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে বাংলাদেশের দু জন চলচ্চিত্র অভিনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। সেই অভিযোগে ওই দুই চিত্রতারকাকে বাংলাদেশ ফেরত পাঠিয়ে দেয় ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক। এদিন মুকুল রায় বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ এই নির্বাচনী প্রচারের এর বিষয়ে কিছু জানে না। খালি ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া এবং আমেরিকায় থাকেন। তাঁর এদেশে কোনও কাজে অংশ নেওয়া আইনত বিধিবদ্ধ। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের কোন নাগরিক আইনত অংশ নিতে পারেন না।" তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ধোপে টেঁকে না বলে স্পষ্ট জানালেন মুকুল রায়।
আরও পড়ুন, অধীর চৌধুরীর সম্পত্তি বহরমপুর-কলকাতা-দিল্লিতে
দুদিন আগে হাওড়া কোর্ট চত্বরে সেখানকার আইনজীবীদের সঙ্গে হাওড়া কর্পোরেশনের কর্মীদের দিনভর সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হাওড়া কমিশনারের পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে আইনজীবীদের ওপর। এমনকি কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। হাওড়ায় আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য হাওড়ার পুলিস কমিশনারকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা নেতা-মন্ত্রীদের ভোটার কার্ড নিয়ে অভিযোগ লেগেই থাকে। এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এ রাজ্যে ভোটার কার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির এই নেতা। তিনি জানান, এ রাজ্যে শ্যামপুকুর বিধানসভার ভোটার লিস্টে তাঁর নাম রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোসর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মোট তিন জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম আছে।
মুকুলের দাবি, সোমবার রাজ্যে চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী। বিজেপি বারে বারে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তাদের দাবির মান্যতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।