প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমাবেশ এবং ভাষণ দেখানোর জন্য তৈরি হয়েছে একটি নয়া চ্যানেল, যার উদ্ভাবক কে তা এখনও অজানা। এ ঘটনা কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিতে আলোড়ন তুলেছে। দু দলই এ নিয়ে সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। নমো টিভি নামের এই চ্যানেলটির গত সপ্তাহে নয়া নামকরণ হয়েছে, কনটেন্ট টিভি। লোকসভা ভোটের অব্যবহিত আগে এই চ্যানেলের আবির্ভাব ঘটেছে সরকারের কোনও অনুমতি ছাড়া। নমো টিভি ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিটিএইচের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে টাটা স্কাই, ডিশ টিভি, এয়ারটেল, সিটি নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য।
নির্বাচন কমিশনে দেওয়া মেমোরান্ডামে কংগ্রেস লিখেছে যে কনটেন্ট টিভি কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির প্রোমোশন এবং বিজ্ঞাপন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রাপ্তি, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সভা এবং বিশিষ্ট বিজেপি নেতাদের সাক্ষাৎকার দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ‘হিন্দু সন্ত্রাস’: নরেন্দ্র মোদীর দাবি ও কয়েকটি তথ্য
মোদী তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকউন্টে জানান, তাঁর কর্মসূচি লাইভ দেখা যাবে নমো টিভিতে। অনুষ্ঠান দেখার পর কংগ্রেস লিখেছে, "এটা স্পষ্ট প্রমাণিত যে উক্ত চ্যানেলটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির প্রচারের জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে।"
ভারতে সম্প্রচারিত প্রাইভেট স্যাটেলাইট চ্যানেলের যে তালিকা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে রয়েছে, তাতে এ চ্যানেলের উল্লেখ নেই। কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনকে বলেছে, কনটেন্ট টিভি নামক চ্যানেলটি হয় সরকার পোষিত চ্যানেল হিসেবে চালানো হচ্ছে, অথবা এ চ্যানেল চালানোর ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে কোনও সরকারি ছাড়পত্র মেলে নি। একই সঙ্গে কংগ্রেস বলেছে, চ্যানেলে যা দেখানো হচ্ছে তা কেবল টেলিভিশনে সম্প্রচার সম্পর্কিত আইনের বিরোধী। কংগ্রেসের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে এ চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হোক।
কংগ্রেসের দ্বিতীয় মেমোরান্ডামে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, রবিবার মোদীর 'ম্যায় ভি চৌকিদার' অনুষ্ঠান, যা নমো অ্যাপ এবং তাঁর ব্যক্তিগত টিভি চ্যানেল নমো টিভিতে প্রদর্শিত হয়েছিল, দূরদর্শন নিউজেও দেখানো হয়েছে।
এই চ্যানেলের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে আম আদমি পার্টিও। তারা বলেছে, বিজেপি নমো টিভি নামে একটি ২৪ ঘণ্টার চ্যানেল শুরু করেছে। যদিও একটি দলের নিজস্ব চ্যানেল থাকতেই পারে, তা সত্ত্বেও আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর এ ধরনের চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Read the Full Story in English