বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফের মোদী সরকার। এক্সিট পোলের অনুমানের চেয়েও অনেক বেশি আসনে জয়ী হয়েছে দিল্লির মসনদে বসতে চলেছে। ২০১৪ সালের চেয়ে আরও বড় জয় এল ২০১৯-এ। বিরোধীদের অনুমানকে ভুল প্রমাণ করে অনায়াসে ম্যাজিক ফিগার পার করল বিজেপি। ২৩ মে'র ফল ঘোষণার সন্ধেতেই দেশের মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কী বললেন মোদী
এই জয় গণতান্ত্রিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘটনা। তীব্র গরমেও সবথেকে বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। এই জয় পরবর্তী প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে।
নির্বাচন কমিশন এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য অভিনন্দন জানাই, সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানাই।
এটা নেতা-মন্ত্রীদের জয় নয়, দেশের মানুষ নির্বাচন লড়েছে, দেশের মানুষই জয়ী হয়েছে।
বিজেপি ভারতীয় সংবিধানের প্রতি এবং দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি দায়বদ্ধ, রাজ্যের উন্নয়নে উদ্যোগী হবে কেন্দ্র।
অনেক বাধা পেরোতে হয়েছে আমাদের, নীতি বিসর্জন দিইনি।
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে আমাদের। যারা আমাদের বিরোধী, তাঁদেরকেও সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। বহুমত থাকা সত্তেও নম্রতার সঙ্গে চলতে হবে আমাদের।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা এই ফকিরের ঝোলা ভরে দিয়েছেন। আমি জানি, আপনাদের আমার প্রতি অনেক আশা ভাসা রয়েছে। ২০১৪ তে আমায় ততটা না জেনেই জিতিয়েছিলেন। ২০১৯-এর লোকসভায় আমায় অনেকটা চিনেছেন। আমার প্রতি আপনাদের ভরসা বেড়েছে। ভরসা বাড়ার সাথে সাথে দায়িত্বও অনেক বাড়ে।
গুজরাতের গান্ধীনগরে ৫ লক্ষের বেশি ভোটে জিতলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
জয়ের পর কী বললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ
‘‘বাংলায় এত অত্যাচার সত্ত্বেও ১৮টি আসনে বিজেপি জিতছে। আগামী দিনে বাংলায় আরও বিস্তার করবে বিজেপি’’, বললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’’।
‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই জয় ঐতিহাসিক। স্বাধীনতার পর এই প্রথম ঐতিহাসিক জয়। বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের ফল এই জয়’’।
বিরোধীদের ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং মিথ্যে প্রচারের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষ উচিত জবাব দিয়েছেন। জাত-পাত এবং পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে মানুষ তাঁদের মত জানিয়েছেন।
‘এই ফলই বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি মানুষের কতটা আস্থা রয়েছে। মানুষ জাতীয়তাবাদ এবং উন্নয়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই জয় নবীন প্রজন্মের আশার জয়। দরিদ্র এবং কৃষকদের জয়।’